Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

হোটেল আমজাদে এলাহি কাণ্ড, প্রতি বেলায় সাবাড় দুই গরু


রান্না একটা শিল্প। এর মাধ্যমেও যে লাখ লাখ মানুষের মন জয় করা সম্ভব, আমজাদ হোসেন তা বেশ ভালো করেই জানেন। ডাল-ভাত দিয়ে মানুষের মন জয় শুরু, এখন তার হোটেলের হাঁড়িতে প্রতি বেলার জন্য রাখতে হয় কমপক্ষে দুটি আস্ত গরুর মাংস। তাতেও যেন খাবারের জন্য কাড়াকাড়ি। টাকা খরচ করে কাড়াকাড়ি করে খেতে আসা, এই সময়ে সত্যিই বিরল ঘটনা!

জামালপুর শহরের ফৌজদারী মোড়ের ‘হোটেল আমজাদ’ সবারই চেনা। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য পুরো শহরের মানুষ তো বটেই, আশেপাশের জেলা থেকেও ছুটে আসেন অনেকে। খাবারের মান ও স্বাদ স্বকীয় হওয়ায় দেশের নানা প্রান্তের ভোজনরসিকদের কাছে এর সু-খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।

শুরুটা হয় ২০০৭ সালে। ডিসি অফিসের আশপাশের সক জায়গায় দখল মুক্ত করতে অভিযান চালালে হোটেল আমজাদও ভাঙা পড়ে। এরপর সমবায় ব্যাংকের জায়গা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে হোটেল আমজাদ। সেখানে প্রতিদিন প্রতিবেলায় চিত্র বদলায়। তিবে হুড়োহুড়ি আর হাঁকডাক থামে না!

আমজাদ হোসেন জানান, প্রথমে ভাত-মাছ, ডিম, সবজি, ডাল, ছোট মাছ বিক্রি থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে গরুর গোশতের চাহিদা। আমার হোটেলে প্রতিদিন দুইটি গরুর গোশত রান্না হয়। কখনও কখনও চাহিদা বেশি থাকে, সেদিন হাফ বা আরও একটি গরু বেশি রান্না করা হয়।

সকালে হোটেলে খুব একটা ভিড় না থাকলেও দুপুরের চিত্র পুরো পাল্টে যায়। সূর্য যতই তেজ বাড়ায়, হোটেল আমজাদেও বাড়ে হাঁকডাক! বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিতদের পাশাপাশি বাড়তে থাকে ভোজন রসিকদের ভিড়। ভেতরে বড় জায়গাজুড়ে সারি সারি চেয়ার টেবিল সাজানো। বাইরে থেকে খুব একটা বোঝার উপায় নেই যে এখানে এতো লোকসমাগম।

হোটেলের কর্মরতদের চোখ ফেরানোর সময় কম। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতেই তার মালিককে দেখিয়ে বলেন যা বলার তাকে বলুন। হোটেলে মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, কোনো কথা বলা বা ছবি তোলা যাবে না। সবাই এখানে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জামালপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শেলু আকন্দ বলেন, ‘আমি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দলিল লেখকের কাজ করছি। আমার এখানকার বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা আমজাদ হোটেলে দুপুরে খাবার খায়।’ জামালপুর জজকোর্টের আইনজীবী সহকারি খোকন মিয়া জানান, কোর্টে যাওয়ার আগে তিনি আমজাদ হোটেলে খেতে আসেন।

আমজাদ হোটেলটি সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার খোলা থাকে। সরকারি অফিস নির্ভর হওয়ার কারণে শুক্র ও শনিবার বন্ধ পান এখানকার কর্মচারিরা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.