Beanibazarview24.com
তমালিকার অভিনয় শুরুটা মঞ্চ থেকেই, যখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। ১৯৯২ সালে আরণ্যক নাট্যদল প্রযোজিত মামুনুর রশীদের লেখা ও আজিজুল হাকিম নির্দেশিত নাটক পাথর এর মাধ্যমে তার মঞ্চাভিনয় শুরু।
এরপর আরণ্যক দলের অন্যতম নাটক ইবলিস, জয়জয়ন্তী, খেলা খেলা, ওরা কদম আলী, প্রাকৃতজন কথা, রাঢ়াঙ, বিদ্যাসাগর এবং ময়ূর সিংহাসনে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে থিয়েটার অঙ্গনে বেশ জনপ্রিয়তা পান।
তমালিকার প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় অন্য জীবন এর মাধ্যমে। তবে সফলভাবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা করে ১৯৯৬ সালে এই ঘর এই সংসার ছবিতে চিত্রনায়ক আলী রাজের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে।
তার বিশেষ কিছু কাজের মধ্যে ২০০০ সালে কিত্তনখোলা চলচ্চিত্রে বেদের মেয়ে ডালিমন চরিত্র এবং ২০১২ সালের ঘেটুপুত্র কমলায় কমলার মা চরিত্র অন্যতম। ১৯৯৬ সালে তিনি লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর অত্যন্ত জনপ্রিয় নাটক কোথাও কেউ নেই তে অভিনয় করেছেন এবং এর মাধ্যমেই তিনি সবচেয়ে আলচিত হোন।
এছাড়াও ‘নাট্যযুদ্ধ’ নামের একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তিনি সিওল, দক্ষিণ কোরিয়াতে আন্তর্জাতিক “থিয়েটার ফেস্টিভাল” অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ সরকারের “শিল্পকলা একাডেমী” এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যান। ২০১৩ সালে, তিনি “এনওয়াইএস এসেম্বলি” স্বীকৃতি লাভ করেন।
দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারের নানা দিক নিয়ে সম্প্রতি তানভীর তারেক এর সাথে ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘জীবন যেখানে যেমন’ নামে এক আড্ডায় অতিথি হয়ে ছিলেন তমালিকা।
সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তমালিকা বলেন, আমিও ধ’র্ষণের দৃশ্যে অভিনয় করেছি কিন্তু সেখানে নান্দনিকতা ছিল। নোংরামি ছিল না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.