Beanibazarview24.com
ঢালিউড অভিনেত্রী বুবলীর জন্মদিনের কিছু কথা। সিলেটের শুটিং স্পট থেকে ফোনে কথা বললেন তিনি। জানালেন তাঁর এখনকার অবস্থার কথা।
এ রকম জায়গায় জন্মদিন উদ্যাপন করতে কেমন লাগছে?
সিলেটে এই প্রথম শুটিংয়ে এলাম। চা–বাগানের বাইরেও সিলেট যে এত সুন্দর, না এলে বুঝতাম না। বাংলাদেশ এমনিতেই অনেক সুন্দর। ইন্টারেস্টিং হচ্ছে, খাসিয়া পল্লির মানুষগুলো এত স্মার্ট যে বলে বোঝাতে পারব না। সবাই খুব সহযোগিতা করছেন, সবাই খোঁজখবর নিচ্ছেন, আমাদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখছেন।
টেলিভিশনে তাঁদের জীবনযাপন দেখেছি, এবারই প্রথম সামনাসামনি দেখার সুযোগ হলো। তাঁরা এত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন, গোছানো। আমরা হয়তো ভাবি যে এখানে নেটওয়ার্ক আছে কি না, সবাই মূল স্রোতের সঙ্গে কানেক্টেড কি না। কিন্তু এখানেও তাঁরা আমাকে নাম ধরে ডাকছেন, মানে আমাকে ভালোভাবে চেনেন। শুটিং দেখছেন, ভালো লাগছে।
আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন নিরব ভাই। বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তের খুব কাছে কয়েকটা লোকেশনে শুটিং চলছে।
একজন শিল্পী হিসেবে সবার সঙ্গে কাজ করা উচিত। আমি আগেও বলেছিলাম, ভালো গল্প পেলে আমি অন্যদের সঙ্গেও কাজ করব। সময় নিয়েছি এবং আমি সেটা করেছি।
একসঙ্গে বেশি সিনেমায় কাজ করলে এ রকম হয়। হলিউড–বলিউডেও এ রকম গসিপ শোনা গেছে। ওনার বাইরে নিরব ভাইয়ের সঙ্গে ‘ক্যাসিনো’, রোশানের সঙ্গে ‘চোখ’, আদর আজাদের সঙ্গে ‘তালাশ’, আবার শাকিব খানের সঙ্গে ‘লিডার’ করেছি। নায়ক–নায়িকার কেমিস্ট্রি দেখে মানুষ একভাবে কল্পনা করে। অন্য হিরোদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করলে অন্যভাবে কল্পনা করবে। এই জিনিসগুলোতে ফোকাস না দিয়ে আমি বরং চরিত্রগুলোতে কীভাবে ঢুকব, সেই দিকে মনোযোগ দিই।
সিলেট থেকে ফিরবেন কবে? শিগগিরই ফিরব। ফিরেই ‘রিভেঞ্জ’ ছবির শুটিংয়ে যোগ দেব। এখানে আমার বিপরীতে আছে রোশান।
ভক্তদের সঙ্গে জন্মদিন উদ্যাপন করতে পারলে কীভাবে করতেন?
সবার সঙ্গে উদ্যাপনের সুযোগ পেলে আমার মনে হয় শোলাকিয়ার মতো বড় একটা খোলা মাঠে চলে যেতাম। রেস্টুরেন্ট বা কোনো বদ্ধ জায়গার বদলে সবাইকে সেখানেই আসতে বলতাম। যারা আমাকে ভালোবাসে, কম ভালোবাসে, সবার হাতে আমি নিজ হাতে ফুল তুলে দিতাম। যখন শুটিংয়ে যাই, দূরদূরান্ত থেকে কত মানুষ দেখতে আসেন। তাঁরা কাছে আসতে চান, ছবি তুলতে চান। শুটিংয়ে সেটা সম্ভব হয় না বলে মন খারাপ হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.