Beanibazarview24.com
‘তুই’ সম্বোধন করে বকা দেয়ায় স্ত্রী তামরীন নাহার পপির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভ’য় দেখান শাহীন। এতে পপি অ’জ্ঞান হয়ে গেলে চোখে-মুখে ও মাথায় পানি ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু এর আগেই মা’রা যান পপি। তবে ওড়না পেঁ’চালেই যে স্ত্রী মা’রা যাবে তা শাহীন বুঝতে পারেননি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হ’ত্যার কথা এভাবেই স্বীকার করেন শাহীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, শনিবার রাতে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে স্ত্রীর লা’শ ফেলে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধ’রা পড়েন শাহীন। রোববার রাতে এ ঘটনায় হ’ত্যা মাম’লার পর সোমবার শাহীনকে আদালতের মাধ্যমে কা’রাগারে পাঠানো হয়।
নিহ’ত তামরীন নাহার পপি নান্দাইল পৌরসভার ঝালুয়া মহল্লার আবু ছাঈদ মণ্ডলের মেয়ে। শাহীনের বাড়ি একই উপজেলার আাঁচারগাও ইউপির সিংদই গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল হেলিম।
জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে শাহীনের সঙ্গে পপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাহীন শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। শনিবার সকালে বাড়ির অন্যরা বেড়ানোর উদ্দেশে বাইরে যান। এরপর স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে পপিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় টের পান প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষণ পর খবর আসে পপি মা’রা গেছেন।
এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহালের সময় পপির গলার দুই পাশে আঘা’তের চিহ্ন দেখে। একপর্যায়ে নিহ’তের স্বামীকে খোঁ’জ করেন পুলিশ সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের গেট থেকে স্বামী শাহীনকে আ’টক করে থানায় নেয়া হয়।
প্রথমে স্ত্রীর হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বী’কার করেন। পরে রোববার রাতে পুলিশের ঊর্ধ্ব’তন কর্মকর্তা এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শাহীন দায় স্বীকার করেন। ওই রাতেই শাহীনকে আসামি করে হ’ত্যা মা’মলা করেন নিহ’তের বাবা আবু ছাঈদ মণ্ডল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.