Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

বাবলা চৌধুরীর সা’হসিকতায় ফাঁ’স হয় এমসি কলেজে ধ’র্ষণের ঘটনা


সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ত’রুণীকে ধ’র্ষণের পর তা ধা’মাচা’পা দিতে চেষ্টা করেছিলো ধ’র্ষকরা। তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন সরকার দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাও। পুলিশও প্রথমে এতে সায় দেয়। তবে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার সা’হসীকতা আর অ’নমনীয়তায় ধা’মাচা’পা দেওয়া যায়নি না’রকীয় সেই ঘটনা।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে ছাত্রাবাসে ত’রুণীকে সং’ঘব’দ্ধ ধ’র্ষণের পর প্রাইভেটকার আ’টকে রেখে স্বামীসহ তাকে ছেড়ে দেয় ধ’র্ষকরা। তাদের টাকা-পয়সা এবং স্বর্ণলাংকারও ছি’নিয়ে নেয় ধ’র্ষকরা। এরপর কাঁ’দতে কাঁ’দতে ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী ও তার স্বামী।

টিলাগড় পয়েন্টে তাদের কাঁ’দতে দেখে এগিয়ে আসেন ওই এলাকার বাসিন্দা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিহিত গুহ চৌধুরী বাবলা। যিনি বাবলা চৌধুরী নামেই পরিচিত। বাবলা চৌধুরীর কাছে ছাত্রবাসের না’রকীয় ঘটনার বর্ণণা দেন ওই তরুণ-তরুণী। এরপর বাবলা ফোন দেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। তবে পুলিশ আসার আগেই ওই তরুণ-তরুণীকে নিয়ে ছাত্রাবাসের দিকে রওয়ানা দেন বাবলা।

সে রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে বাবলা চৌধুরী সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ছাত্রাবাসে গিয়ে আমি সাইফুর-রবিউলসহ কয়েকজনকে দেখতে পাই। আমাকে দেখেই তারা ওই দম্পত্তির গাড়ি চাবি ও মোবাইল ফোন আমার হাতে তুলে দেয়। তারা এগুলো ফেলে গেছে বলে সাইফুর আমাকে জানায়। চাবি আর মোবাইল নিয়ে আমি পুণরায় ছাত্রাবাসের গেইটে এসে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।

বাবলা চৌধুরী বলেন, ছাত্রাবাসের গেইটে এসে দেখতে পাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতা ও যুবলীগের একজন নেতাসহ কয়েকজন গেইটে দাঁড়িয়ে আছেন। এরপর কিছুক্ষণ পর পুলিশও ঘট’নাস্থলে আসে।

বাবলা বলেন, ছাত্রাবাসে প্রবেশের জন্য পুলিশ কলেজ প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলো। এতে অনেকটা সময় ক্ষে’পন হয়ে যায়। এসময় জড়ো হওয়া সরকারদলীয় নেতারা প্রথমে বিষয়টি ধা’মাচা’পা দিতে চেষ্টা করেন। এরপর তারা আ’পোষের চেষ্টা চালান। আপো’ষের চেষ্টায় শাহপরান থানার ওসিও তাদের সহায়তা করেছিলেন।

তবে আমি এরকম আপো’ষের প্রস্তাব মানিনি। এছাড়া কয়েকজন পুলিশ সদস্যও এরকম প্র’স্তাবে রাজি হননি। তবে এসব কথাবা’র্তায় অনেক সময়ক্ষে’পন হওয়ার সুযোগে অভিযু’ক্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বাবলা চৌধুরী বলেন, ছাত্রাবাসে প্রবেশের আগেই ওই তরুণীর স্বামীর মোবাইলে একটি কল আসে। এসময় আমি তার হাত থেকে ফোনটি নিয়ে কথা বলি। কল করেছিলো সাইফুর। ফোনে ওই দম্পত্তিকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শা’সাচ্ছিল সাইফুর। আমি তখন আমার পরিচয় দিয়ে বলি- ‘আমি আসছি, দেখি তোরা কী ক’রতে পা’রস’।

ধ’র্ষণের ঘটনা আ’পোষে সহায়তার অভি’যোগ প্রসঙ্গে সোমবার রাতে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, এরকম কিছু আমি শুনিনি।

সরকার দলীয় কয়েকজন নেতার বিরু’দ্ধে ধ’র্ষ’ণের ঘটনা ধা’মাচা’পা দেওয়ার চেষ্টার অ’ভিযোগ প্রসঙ্গে জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, এখন আমরা মা’মলার এ’জাহারভূ’ক্ত সব আ’সামিদের গ্রে’প্তারের চেষ্টা করছি। পরে ত’দন্তে যদি আর কারো নাম আসে তাদেরও গ্রে’প্তার করা হবে।

সেই রাতের ঘটনার পর বাবলা চৌধুরীর সাথে সাক্ষাতের কথা নিশ্চিত করে নি’র্যাতিন তরুণীর স্বামী রোববার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (বাবলা চৌধুরী) বলছিলেন, যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সং’ঘব’দ্ধ ধ’র্ষণের শি’কার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধ’র্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আ’টকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দা’য়ের করা মা’মলায় আ’সামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এঘটনায় এজা’হারভূ’ক্ত চা’রজনসহ এ পর্যন্ত ছ’য়জনকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। গ্রে’প্তারকৃ’তদের মধ্যে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে সোমবার পাঁ’চ দিনের রি’মান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.