Beanibazarview24.com
অবিশ্বাস্য, এই ওষুধে ২ দিনে সুস্থ করোনা রোগী!
Incredible, The corona patient recovers in 2 days with this medicine
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৩৩৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৮ জনের।
এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে এই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন ওষুধে চিকিৎসা করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল অবিশ্বাস্য তথ্য। বদহজমের এক প্রকার ট্যাবলেটের হিউম্যান ট্রায়ালে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন করোনা রোগী মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন বলে একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফল গাট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। খবর ডেইলি মেইল এবং দ্য সান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্যাবলেটটির জেনেরিক নাম `Famotidine’; যুক্তরাষ্ট্রের রোগীরা এর পেপসিড এসি ব্র্যান্ডনেমের ট্যাবলেট গ্রহণ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রায়ালে হালকা লক্ষণের দশজন রোগীকে প্রতিদিন ওই ট্যাবলেট খেতে দেওয়া হয়। রোগীরা জানিয়েছেন, দুদিন পর থেকে তাদের শ্বাসকষ্ট এবং কাশি কমে গেছে।
ফেমোসিডিন ঠিক কীভাবে কাজ করে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সরাসরি ভাইরাসের কার্যকলাপ থামিয়ে থাকতে পারে অথবা ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করতে পারে।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েল হেলথ কেয়ারে ২৩ থেকে ৭১ বছর বয়সী চারজন নারী এবং ছয়জন পুরুষ রোগীকে ট্রায়ালে নির্বাচন করা হয়। হালকা উপসর্গের এই দশজন যখন বেশি অসুস্থ বোধ করেন, তখনই ওষুধটি দেয়া হয়।
রোগীরা বলছেন, ২৪-২৮ ঘণ্টা পর তাদের উপসর্গগুলো কমতে থাকে। ১৪ দিনের মাথায় ‘সব’ উপসর্গ চলে যায়। এখানে পাঁচটি উপসর্গকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে- কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং স্বাদ/গন্ধ চলে যাওয়া। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট সেরেছে বেশি দ্রুত।
সাতজনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তিনজনের হালকা মাথাঘোরা এবং অনিদ্রার সমস্যা দেখা যায়।
এই ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, আবার ট্রায়াল দিয়ে ওষুধটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
তারা লিখেছেন, ‘আমাদের ফাইন্ডিংস Famotidine-এর কার্যকারীতাকে সমর্থন করছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও তথ্যমূলক গবেষণার প্রয়োজন।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.