Beanibazarview24.com
করোনাভাই’রাসের ভা’রতীয় ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টা’ এর দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে অনেক বাড়িঘরে পড়ে আছে করো’নায় মা’রা যাওয়া ব্যক্তিদের ম’রদেহ। যাদের মৃ’ত্যুর সময় পাশে কেউ ছিল না। এর মধ্যে অনেকেই মা’রা গেছেন অক্সিজেন সংকটে। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসেছেন উ’দ্ধারকর্মীরা।
বিবিসির স্থানীয় সাংবাদিক ভালদিয়া বারাপুতরি বলছেন, গত দেড় বছরের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় সংক্রমণ এখন সবচেয়ে খা’রাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে হয়ে উঠেছে নতুন আরেকটি হটস্পট।
ইন্দোনেশিয়ায় এখনও পর্যন্ত ২৬ লাখ মানুষ করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আ’ক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আ’ক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে।
অ’তি সংক্রামক ভা’রতীয় ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জাকার্তায় অ’গ্নিনির্বাপণ কর্মী উই’রাওয়ানের কথা তুলে ধ’রা হয়। আ’গুন নেভানোর পরিবর্তে তিনি এখন করো’নায় মা’রা যাওয়া ব্যক্তিদের ম’রদেহ উ’দ্ধার ও শেষকৃত্যের কাজ করছেন। গত এক বছরে আরও সাত সহকর্মীসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কাজ করছেন তিনি।
উই’রাওয়ান বলেন, বেশির ভাগ মানুষ একা একা মা’রা যাচ্ছেন। এর একটি কারণ হতে পারে তারা হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা পাননি, নয়তো হাসপাতাল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীরাই ফোন করে এসব মানুষের খবর দিচ্ছেন।
করো’নার সর্বশেষ ঢেউ আসার আগে উই’রাওয়ান প্রতিদিন দুই-তিনটি মৃ’তদেহ কবর দেওয়ার জন্য ফোন পেতেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন ২৪টি ফোন পাচ্ছেন।
ইন্দোনেশিয়ার পরিসংখ্যান গ্রুপ ল্যাপোর কোভিড-১৯ বলছে, জুন মাস থেকে এখনো পর্যন্ত ৪৫০ জন বাড়িতে মা’রা গেছেন। করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার পরে তারা সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন, কারণ হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করানোর জায়গা ছিল না।
মে মাসের প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়ায় করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণ হঠাৎ করেই মা’রাত্মক আকার ধারণ করে। তখন ঈদের ছুটিতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে যাতায়াত করেছে।
বিদেশ থেকে যারা ইন্দোনেশিয়ায় ঢুকছে তাদের কোয়ারেন্টাইন করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়াতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কখনও বন্ধ করা হয়নি। সম্প্রতি বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আট দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি আগে ছিল ছিল পাঁচ দিন।
করো’নায় দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৬৯ হাজার মানুষ মা’রা গেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ মা’রা গেছে। তবে মৃ’তের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
ইন্দোনেশিয়ার ভেতরে করো’নাভাই’রাস সংক্রমণের মূল কেন্দ্র হচ্ছে সবচেয়ে জনবহুল জাভা দ্বীপ।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সেখানকার একটি হাসপাতা’লে অক্সিজেন সংকটের কারণে ৬৩ জন করো’না রোগী মা’রা গেছে।
এসব মৃ’ত্যুর ঘটনা পুরো দেশকে শোকাহত করেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে সংবাদমাধ্যম মৃ’ত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.