Beanibazarview24.com
নাটক তো পরের কথা, সচরাচর দেশের সিনেমাতেও পাওয়া যায় না দুই বাংলার শীর্ষ নায়িকা জয়া আহসানকে। ঢাকাই নাটক দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার পোক্ত হলেও জয়ার বর্তমান পরিস্থিতি এমনই।
২০১৩ সালে কলকাতার সিনেমা ‘আবর্ত’ মুক্তির পর থেকে টানা সাত বছর তিনি কাজ করছেন না টিভি নাটকে। কিন্তু মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকাল নাগাদ বিস্ময়কর একটি খবর পাঠালো দেশের অন্যতম বেসরকারি চ্যানেল আরটিভি। ইমেইল মারফত প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই ঈদে দর্শকরা ফের জয়া আহসানকে দেখতে পারবেন টিভি নাটকে! না, পুনঃপ্রচার হওয়া কোনও কাজ নয়। টিভিতে এবারই প্রথম প্রচার হচ্ছে ‘স্বপ্ন ভঙ্গ’ নামের এই নাটকটি। আরটিভির বিশেষ নাটক হিসেবে এটি প্রচার হবে ঈদের সপ্তম দিন রাত ৯টায়।
আরেকটি দরকারি তথ্য হলো, নাটকটির রচয়িতা ও নির্মাতা আসফাক এরমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। এতে জয়া আহসানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নেভিল।
সব তথ্য স্পষ্ট হলেও অস্পষ্টতা থেকে যায় নাটকটির নির্মাণকাল ও জয়া আহসানের অভিনয় প্রসঙ্গে। প্রশ্ন তৈরি করে নির্মাতার মৃত্যুর খবরটিও। তাছাড়া নাটকটি পুনঃপ্রচারও হতে পারে। যেটা গেলো ঈদেও হয়েছে দেশের সবকটি টিভি চ্যানেলে, মহামারির কারণে। কিন্তু চ্যানেল কর্তারা স্পষ্ট করেই বলছেন, নাটকটি এর আগে আর কোথাও প্রচার হয়নি। এটা জয়া আহসানের নতুন নাটক!
যেহেতু নির্মাতা প্রয়াত, সেহেতু এ প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউন-এর কথা হয় ‘স্বপ্ন ভঙ্গ’ নাটকটির প্রযোজক জসিম উদ্দিন মুনের সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নাটকটি নিশ্চয়ই নতুন। মানে আর কোথাও এটি প্রচার হয়নি। নাটকটি নির্মাণ করেছি ২০১৩ সালে। নির্মাণের পর সম্পাদনা শেষ করে এর নির্মাতা চলে যান লন্ডনে।
কয়েকমাসের ব্যবধানে তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। সবমিলিয়ে আমিও নাটকটি ফেলে রাখি। তো প্রায় সাত বছর পর কাজটি প্রচারের ব্যবস্থা করেছি এবার। কারণ, এটাই জয়া আহসান অভিনীত ও আসফাক নির্মিত শেষ নাটক। ফলে কাজটির গুরুত্ব রয়েছে বলে আমার মনে হলো।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রযোজক মুন জানান, নাটকটি প্রচার প্রসঙ্গে অভিনেতা নেভিলের সঙ্গে কথা হয়েছে সম্প্রতি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু জয়া আহসান আপত্তি জানাবেন নিশ্চয়ই, যদি না জানিয়ে থাকেন! কারণ, এই কাজটি ফিরে আনবে সাত বছর আগের জয়া আহসানকে। কে চায় নতুন করে অতীত তুলে আনতে!
জবাবে মুন বলেন, ‘আপত্তি জানানোর তো কারণ নেই। কাজটি জোড়াতালি দিয়ে প্রচার হচ্ছে না। একটা কমপ্লিট কাজ। ভালো কাজ। আমার ধারণা, তিনি খুশিই হবেন। আমি তার সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করছি।’
‘স্বপ্ন ভঙ্গ’র গল্প গড়ে উঠেছে সাহেদ ও অনির নতুন সংসার নিয়ে। সুখের সংসারে ঘটে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এরপর জীবনে ঘটতে থাকে নানারকম ভৌতিক ঘটনা। তারা মুখোমুখি হতে থাকেন দারোয়ান, কেয়ারটেকার ও বন্ধুদের অসামঞ্জস্য আচরণের।
শেষ দৃশ্যে ‘স্বপ্ন ভঙ্গ’ গল্পের কেন্দ্রীয় দুই চরিত্র সাহেদ ও অনি জানতে পারে পূর্বে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়! এভাবেই ঘটে নাটকের বিস্ময়কর সমাপ্তি।
লক্ষণীয় বিষয়, নাটকটির গল্পের সঙ্গে নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের বাস্তবতাতেও খানিক মিল আছে। নির্মাণের পর নির্মাতার মৃত্যু। সাত বছর পর সেটি সম্প্রচারে যাওয়া। যদিও প্রযোজক মনে করছেন, এর সবটাই কাকতালীয়।
-বাংলা ট্রিবিউন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.