Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

অ,শ্লী,ল,তা,র কারণে সিনেমা ছেড়েছিলাম: শিল্পী


নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে ‘বাংলার কমান্ডো’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শিল্পী। এরপর তিনি নায়করাজ রাজ্জাকের ‘বাবা কেন চাকর’, আবুল খায়ের বুলবুলের ‘ক্ষমা নেই’, নূর হোসেন বলাইয়ের ‘শক্তের ভক্ত’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘মুক্তি চাই’, রানা নাসেরের ‘প্রিয়জন’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লম্পট’সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। ২০০১ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় তার অভিনীত শেষ ছবি।গত দুই দশক ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন।
চলচ্চিত্র থেকে কেনো তিনি দূরে রয়েছে এবং বর্তমানে তার সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় ডেইলি বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুম্মান রয়।

বিয়ের কারণে কি সিনেমা থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন?
আঞ্জুমান শিল্পী: না বিয়ে করে সংসারী হওয়ার পর আমি ফিল্মকে বিদায় জানাইনি। সত্যি বলতে অশ্লীলতার কারণে সিনেমা ছেড়েছিলাম। পরিবেশ ছিলো না সিনেমা করার।

আমরা যে মানের সিনেমায় কাজ করতাম পরবর্তীতে তেমন কাজ না থাকায় আর সিনেমায় কাজ করা হয়নি। যদিও ২০০৪ সাল পর্যন্ত টিভি নাটকে কাজ করেছিলাম।

সিনেমায় অভিনয় করছেন না অনেক বছর। এ অঙ্গনকে কি মিস করেন?
আঞ্জুমান শিল্পী: অবশ্যই মিস করি। এটাই তো আমার পরিচয়ের বড় জায়গা। অনেক দিন এফডিসিতে এসে যখন দেখলাম ৩নং ও ৪নং ফ্লোর ভেঙে ফেলা হচ্ছে তখন খুব কষ্ট লাগছিলো। একজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম ভবন নির্মাণ করা হবে তখন ভালো লাগলো।

আপনাকে সামনে কি কখনো সিনেমায় আবারো অভিনয় করতে দেখা যাব?
আঞ্জুমান শিল্পী: আমরা যে মানের কাজ করতাম সেই মানের কাজ হচ্ছে না। তাই সিনেমায় কাজের আর ইচ্ছে নেই। তাছাড়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ব্যস্ততা আছে।

বর্তমান চলচ্চিত্রের অবস্থা কেমন দেখছেন?
আঞ্জুমান আরা শিল্পী: একে তো ছবি হচ্ছে না। আবার সিনেমা হলও নেই। প্রযোজকরা লগ্নি করছে না। লগ্নি করলেও টাকা কোথা থেকে ফিরে আসবে! সেই পথই তো দেখছি না। সিনেমা চালানোর জায়গাও নেই! এদিকে নতুন নায়ক নায়িকাও আসছে না। আমরা যখন কাজ শুরু করেছি তখন ৬০/৭০ লাখ টাকায় সিনেমা হতো। প্রযোজকরা ভরসা করতেন চোখ বন্ধ করে। এখন তো নতুনরা আসলে প্রযোজকরা বিনিয়োগই করতে চান না।

আপনি যদি একটা গাছ লাগান সেটার ফল হলে আপনাকে তো ফল বিক্রি করতে হবে, নয়তো ফল গাছের নিচে পড়ে পঁচে যাবে। সিনেমা বানাবে সেটা তো চালানোর জায়গা থাকতে হবে। বাধ্যতামূলক সিনেপ্লেক্স থাকতে হবে। একটা বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স বা যমুনা ব্লকবাস্টার দিয়ে সিনেমা চলবে না। আগে ১৩শ সিনেমা হল ছিল। এখন ৬০ টিতে নেমে এসেছে। এতো কম সিনেমা হল দিয়ে তো বিনিয়োগের অর্থ ফেরতের আশা করা যায় না। তাই হলের সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। পরিবেশ আরো উন্নত করতে হবে। ভালো গল্পের সিনেমা বানাতে হবে।

এখন আপনার ব্যস্ততা কি নিয়ে?
আঞ্জুমান শিল্পী: আমার দুটো ছোট বাচ্চা আছে। এখন তো অনলাইনে ক্লাস হয়। ওদের পড়াশোনা ওদের দেখভাল করে আমার সারাদিন কাটে। ওদের নিয়েই আমার ব্যস্ততা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.