Beanibazarview24.com






হঠাৎ করেই ভাইরাল একটি নাম- কাকলী। ‘দামে কম মানে ভালো’-একটি আসবাবপত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন থেকে নামটি ছড়িয়েছে। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছে কাকলী ফার্নিচার।




প্রায় ২০ বছর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার শ্রীপুর সড়কে ছোট্ট পরিসরে কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করেন মো. আবুল কাশেম। তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেন মেয়ে কাকলীর নামে। বর্তমানে ব্যবসা দেখাশোনা করছেন আবুল কাশেমের ছেলে সোহেল রানা।




এ প্রসঙ্গে রানা বলেন, ‘অল্প পুঁজি নিয়ে বাবা ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা ছোট-বড় যাই হোক, নামকরণ করা হয় সাধারণত প্রিয় বস্তু বা মানুষের নামে। আমার বাবাও আমাদের একমাত্র আদরের ছোট বোন কাকলীর নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছিলেন।’




কথাপ্রসঙ্গে জানা যায়, কাকলীর বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। তার ঘরে দুটি সন্তান। অপূর্ব (১২) ও আনমুল (৩)। বর্তমানে কাকলীর স্বামী আমান উল্লাহকে সঙ্গে নিয়েই ফার্নিচারের ব্যবসা পরিচালনা করছেন সোহেল রানা। গাজীপুর এবং ময়মনসিংহে কাকলী ফার্নিচারের ৩টি শাখা রয়েছে।




সোহেল রানা নিজেই প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেন। বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, স্বামী স্ত্রীকে কাকলী ফার্নিচারের বিভিন্ন সুবিধার কথা বর্ণনা করছেন। অন্যদিকে, স্ত্রী ‘আর, আর’ প্রশ্ন করে একের পর এক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন। এ ছাড়া দুটি ছোট মেয়ে প্রায় রোবটের মতো ভঙ্গিতে সোফার উপর লাফাচ্ছে আর বলছে, ‘দামে কম, মানে ভালো কাকলী ফার্নিচার’।




বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর কলকাতায় প্রথমে ট্রল হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক কাকলী ঘোষ দস্তিদার হন এর প্রথম শিকার। এরপর মিস্টার বিন, এমনকি জনপ্রিয় ধারাবাহিক সিআইডি এবং সৃজিত মুখার্জির বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্য ব্যবহার করে তৈরি করা হয় মিম। ভাইরাসের মতোই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেগুলো। অনেকেই এর নাম দেন কাকলী ভাইরাস!







Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.