Beanibazarview24.com
মেয়ের পরিবার গবির- এমন অজুহাতে বিয়ে ভেঙে দেয় প্রেমিক সুজন হাওলাদার ও তার পরিবার। এ অপমান সইতে না পেরে প্রেমিকা তামান্না আক্তার বিষপান করেন। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গেছেন তিনি।
বরগুনার আমতলীর উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তামান্না আক্তার আমতলী সরকারি কলেজের একাদ্বশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি ওই গ্রামের বাচ্চু মোল্লার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তারিকাটা গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের ফল ব্যবসায়ী সুজন হাওলাদার কলেজছাত্রী তামান্নাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে সুজন তাকে ধর্ষণ করে আসছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
গত এক মাস ধরে সুজনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তামান্না। এক পর্যায়ে গত সোমবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে দুই পরিবার। কিন্তু বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ান সুজনের খালা মাহফুজা বেগম। তামান্নার পরিবার গবির- এমন অজুহাতে বিয়ে ভেঙে দেন তিনি।
তামান্নার বাবা বাচ্চু মোল্লার অভিযোগ, ছেলের বাবা মোকলেসুর রহমান ও খালা মাহফুজা বেগম তার বাড়িঘর দেখতে আসার অজুহাত দেখিয়ে সোমবার বিয়ে ভেঙে দেয়। এ অপমান সইতে না পেয়ে তার মেয়ে ওইদিন রাতে বিষপানে আত্মহ.ত্যার চেষ্টা চালায়।
পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে মারা যান তামান্না।
ঘটনার পর সুজন ও তার পরিবার গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজনের খালা মাহফুজা বেগম বলেন, সুজনের মা নেই, ওকে আমি বড় করেছি। মেয়ের পরিবার পছন্দ হয়নি, তাই বিয়ে হয়নি।
হলদিয়া ইউপি সদস্য মো. সাইদুল ইসলাম স্বপন বলেন, মেয়ের পরিবার গরিব বলে বিয়ে ভেঙে দেয় ছেলের পরিবার। এ অপমান সইতে না পেরে মেয়েটি বিষপানে আত্মহ.ত্যা করেছেন।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.