Beanibazarview24.com
পুরান ঢাকার কদমতলীতে ঘু.মের ও.ষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হ.ত্যা করেছেন বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ঘাতকের স্বামী ও সন্তান। ঘটনার পর মেহজাবিনকে আ.ট.ক করেছে কদমতলী থানা পুলিশ। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে তাকে আ.ট.কের পর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুলের (২০) ম.র.দে.হ উ.দ্ধা.র করা হয়। অ.চে.তন অবস্থায় মে.য়ের জা.মাই শফিকুল ইসলাম ও নাতনি তৃ.প্তিকে উ.দ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নৃশংস এই হ.ত্যা.কা.ণ্ডের পেছনে অ.ন্ধ.কার জগতের এক অজানা গল্প উঠে এসেছে। পুলিশ বলছে, পরিবারের সবার প্রতি ক্ষো.ভ থেকে সবাইকে ঘুমের ও.ষুধ .খা.ইয়ে অ.চে.ত.ন করে শ্বা.স.রো.ধে হ.ত্যা করেছেন মেহজাবিন।
কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘সে (মেহজাবিন) কৌশলে বাসার সবাইকে ঘু.মের ও.ষুধ খাওয়ানোর পর সবাই অ.চে.ত.ন হয়ে যায়। এরপরই সবার হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধে। পরে গলায় রশি পেঁ.চিয়ে শ্বা.স.রো.ধে হ.ত্যা করে।’
ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাবা দেশে না থাকায় তার মা তাকে এবং তার ছোট বোনকে (নি.হ.ত জান্নাতুল) দিয়ে দে.হ ব্য.বসা করাত। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিল সে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছোট বোনকে দিয়ে ব্যবসা চলছিল। এর মধ্যে তার স্বামী ছোট বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ওমানে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষো.ভ থেকে পরিবারের সবাইকে হ.ত্যা.র পরিকল্পনা করেন বলে মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছেন।
তবে মেহজাবিনের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো কতটুকু সম্ভব, এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে স.ন্দে.হ দেখা দিয়েছে। কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘মেহজাবিনের স্বামীকেও আমরা স.ন্দে.হের বাইরে রাখছি না। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সম্পত্তির বিষয়ও এখানে রয়েছে। ত.দন্তে এসব আসবে।’
এদিকে শনিবার রাতেই মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলকে আসামি করে হ.ত্যা মা.ম.লা দা.য়ের করা হয়েছে। মা.মলাটি করেছেন হ.ত্যার শি.কার মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন।
শফিকুল রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.