Beanibazarview24.com
রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হ.ত্যার ঘটনায় বড় মেয়ে মেহজাবিনকে আ.ট.ক করেছে পুলিশ।সেই হ.ত্যার ঘটনায় পেছনে পর.কী.য়া প্রেম রয়েছে বলে দাবি করেছে নি.হ.তের স্বজনরা।
এদিকে ঘটনার পরই শনিবার দুপুরে তাকে আ.ট.ক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তিন খুনের রহস্য উন্মোচন করার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক ক.ল.হের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কি ধরনের ক.ল.হ ছিল, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডির ক্রা.ই.ম সিন টিম এবং র্যাব সদস্যরা রয়েছেন।
তবে নি.হ.ত.দের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নি.হ.ত মাসুদ রানা (৫০) কয়েক বছর ধরে সৌদিতে ছিলেন। বছর খানেক হলো দেশে ফিরছেন। অন্যদিকে ৬ বছর আগে মেহজাবিন মুন ও শফিকুল ইসলাম-এর বিয়ে হয়। এরপর পরিবার থেকে মেনে না নেওয়ায় মেহজাবিন-এর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু বছর খানেক হলো মেহজাবিনকে মেনে নেয় পরিবার। এতেই বাধে বিপত্তি।
নি.হ.ত মৌসুমী ইসলামের বড় বোন জাহানারা বলেন, মেহজাবিনের ছোট বোন মোহিনীর সঙ্গে স্বামীর প.র.কী.য়া সম্পর্ক ছিল। এজন্য তাদের পরিবারে ঝগ.ড়া হতো। তবে গতকাল কী ঘটেছিল, তা আমি জানি না। তবে আমাদের ধারণা, প.র.কীয়া সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য শফিকুলকেই দায়ী করেন ওই পরিবারের স্বজনরা।
ঘা.ত.কে.র চাচাতো বোন শিলা বলেন, মেহজাবিন তার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। সে তার আগের ঘরের স্বামীকেও খু.ন. করেছিল। সেই মা.ম.লায় মেহজাবিনসহ তার নি.হ.ত বাবা-মা ও বোনের জে.ল হয়েছিল। পাঁচ বছর জেল খে.টে তারা জামিনে ছাড়া পায়।
তিনি আরও বলেন, গত দুদিন আগে স্বামী সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোনের জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর প.র.কী.য়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করে। এ নিয়ে অনেক কথা কা.টা.কা.টি হয়। তার জে.রেই হয়তো সে এ হ.ত্যা.কা.ণ্ড ঘটিয়েছে।
এছাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, জায়গা সম্পত্তি নিয়েও পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিল মেহজাবিনের। সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য বাবা-মাকে অনেক চাপ দিত। এ নিয়ে এর আগে বৈঠক শালিস হয়েছে।
তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহজাবিনের স্বামী শরিফুল ইসলাম মেহজাবিনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেহজাবিন বেশ কয়েক মাস ধরে উ.শৃ.ঙ্খল জীব.নযাপন করত। কাজ থেকে বাসায় ফিরে তাকে পাওয়া যেত না। তালা মা.রা থাকত বাসা। কারণ জিজ্ঞেস করলে, উশৃ.ঙ্খ.ল আচ.র.ণ করত। গতকালও ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে আসে। এরপর রাত ১১টার দিকে আমাদেরকে কফি খেতে দিয়েছিল।
তার ধারণা, ওই কফিতে ঘুমের ওষুধ মেশানো থাকতে পারে। যে কারণে তা খাওয়ার পর পরবর্তীতে কী হয়েছে, কিছুই তিনি জানেন না।
তবে পুলিশের ধারণা, ঘুমের ওষুধ মেশানো তরল পানীয় খাওয়ানোর পরই শ্বা.স.রু.দ্ধ করে হ.ত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। আট.ক মেহজাবিনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক ক.ল.হে.র জেরে এই হ.ত্যা.কা.ণ্ড হয়েছে। গতকাল মধ্যরাতের কোনো এক সময় চে.ত.না.না.শ.ক ওষুধ খা.ইয়ে তাঁদেরকে শ্বা.স.রো.ধে হ.ত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মিলেছে।
এর আগে সকালে মুরাদপুর এলাকার ২৮, লালমিয়া সরকার রোডের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও বোন জান্নাতুলের (২০) লা.শ. উ.দ্ধা.র করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মেহজাবিন তার বাবা-মা ও বোনকে হ.ত্যা করার পর আজ সকাল ৮টায় ৯৯৯-এ কল করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনার দ্রুত না আসলে আমার স্বামী ও মেয়েকে খু.ন করে ফেলব।’
পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নি.হ.ত তিনজনের লা.শ উ.দ্ধা.র করে। আর মেহজাবিনের স্বামী ও সন্তানকে অ.চে.ত.ন অবস্থায় ঢামেকে পাঠায়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.