Beanibazarview24.com
১৬ দিন মৃ’ত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হে’রে গেলেন স্বামী-শাশুড়ির নি’র্যাতনে আহ’ত গৃহবধূ তাসমিম মিম। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়।
নিহ’ত তাসমিম মিম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাটের মহিবুল আলমের মেয়ে ও দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার এজাজ আহমেদ বাপ্পীর স্ত্রী। অভিযুক্ত বাপ্পী দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার জিন্না মোল্লার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে প্রেমিক এজাজ আহমেদ বাপ্পীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তাসমিম মিম। আজ ছিল তাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। বিবাহবার্ষিকীর দিনই না ফেরার দেশে চলে গেলেন মিম।
জানা গেছে, বিয়ের পর স্বামী-সংসার নিয়ে মিমের বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করেই স্বামী বাপ্পী ও শাশুড়ি কোহিনুর যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল দাবি করেন। তাদের দাবি পূরণ করায় এ নিয়ে মিমকে প্রায়ই নানা ধরনের কটূ কথা শুনতে হতো। একপর্যায়ে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বামী ও শাশুড়ির নি’র্যাতনে গুরুতর আহ’ত হন মিম।
স্থানীয়রা তাকে উ’দ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারী’রিক অবস্থার অবনতি হলে ২ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মৃ’ত্যুবর’ণ করেন মিম।
এদিকে মিমকে নি’র্যাতনের ঘটনায় কয়েক দিন আগে দৌলতপুর থানায় মিমের বাবা মহিবুল আলমের পক্ষে অভি’যোগ দিতে যান মিমের খালাতো ভাই। থানার ওসি অ’ভিযোগটি না নিয়ে তাকে ফেরত দেন।
এ বিষয়ে মিমের বাবা মহিবুল আলম বলেন, থানায় অভি’যোগ দিতে গেলে প্রথমে অভি’যোগ নেননি ওসি নিশিকান্ত সরকার। পরে আমাদের পরিচিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ফোন করলে অভি’যোগ গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে মিমের স্বামী অভিযুক্ত এজাজ আহমেদ বাপ্পীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গতকালই এই থানায় যোগদান করেছি। মিমের পরিবারকে আবারও অভিযোগ দিতে বলেছি। মিমের পরিবার অবশ্যই ন্যা’য়বিচার পাবে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.