Beanibazarview24.com
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের লাগাম যেন টানাই যাচ্ছে না। দেশটিতে আক্রান্ত ও .মৃ.ত্যু.র একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আড়াই লাখের বেশি মানুষ।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখ ৪ হাজার ৭০১। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮২।
তবে দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৭ জন। বর্তমানে সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৮ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার ৬৩২। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২৯ হাজার ২৫৮ জন।
করোনা মহামারির এক বছরে ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃ.ত্যু.তে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই কোনো দেশ।
গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। ডিসেম্বরে দেশজুড়ে বেশ কিছু উৎসবের কারণে লোকজন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেনি। ফলে গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি এর আগেই সতর্ক করেছিলেন যে, ক্রিসমাসের পর করোনা মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সামনে আসবে। ছুটির দিনগুলোতে লোকজনের অবাধ চলাফেরার কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাবে বলে তিনি সবাইকে সতর্ক করেছিলেন।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই দেশজুড়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪২ লাখের বেশি মানুষ প্রথম দফায় ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গরাজ্যগুলো হলো-ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, ইলিনয়েস, ওহাইও, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, টেনেসি এবং নর্থ ক্যারোলিনা। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মৃ.ত্যু দেখেছে নিউইয়র্ক।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.