Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

অক্সফোর্ডের মুনজেরিন ঢাবিতেও প্রথম শ্রেণিতে প্রথম


ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি শিখিয়ে খুব অল্প সময়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনজেরিন শহীদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি তিনি ভর্তি হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডে। তবে ঢাবির মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে এরই মধ্যে।

সেখানে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। সময়নিউজের পাঠকদের জন্য এই কৃতী শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

সম্প্রতি তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। স্নাতোকত্তরে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ার বিষয়টি শেয়ার করে নিজের এই সফলতার গল্প শেয়ার করেছেন তার ভক্তদের সাথে। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য মুনজেরিন শহীদের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

আলহামদুলিল্লাহ, আমি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে প্রথম হয়েছি। বেশ কিছুদিন আগের খবর এটা, কিন্তু আপনাদের সাথে শেয়ার করার আগে আপনাদের পুরো গল্পটা গুছিয়ে বলি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকে আমি তেমন পড়াশুনা করতাম না। সবসময় ক্লাসে চুপচাপ থাকতেই ভালো লাগতো। ক্লাসে টিচার কখনও প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে আমি কোনোদিনও স্বেচ্ছায় উত্তর দেওয়ার জন্যে হাত তুলতাম না। কেন যেন ক্লাসে কথা বলতে ভালো লাগতো না। সবসময় সবার মনোযোগ থেকে দূরে থাকতে ভালো লাগতো। পড়াশোনাটাও মোটামুটি পার পেয়ে যাওয়ার মতো লেভেলেই করে রাখতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই আমি দুটো জায়গায় চাকরি করতাম। অনেক সময় দেখা যেতো পরীক্ষার আগে চাকরির কাজও থাকতো। তাই বেশ কষ্ট হতো সবকিছু ব্যালেন্স করতে।

অনেক ইচ্ছা ছিলো নিজের খরচ নিজে চালাবো, বাবা মায়ের ওপর থেকে চাপ কমাবো। তাই কাজটাতেই বেশি ফোকাস করতাম। অনেক সময় এমন হতো, চাকরি করে ক্লাসে দৌড়াতাম, ক্লাস শেষ করে আবারো চাকরিতে দৌড়াতাম। রিকশায় বসে বনরুটি আর কলা খেতাম দুপুরে। দিনগুলো এমন ছিলো!

আরো যদি বলি, সাহিত্য পড়তে আমার ভালো লাগতো না। মনে হতো গল্পের বইকে এভাবে ব্যবচ্ছেদ করে পড়তে হলে গল্পের বইয়ের মজাটা থাকে কোথায়? কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষে যখন আস্তে আস্তে ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিংয়ের ক্লাসগুলো শুরু হয়, তখন থেকেই মূলত ক্লাসগুলো ভালো লাগতে শুরু করে। ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিংয়ের প্রতি আগ্রহটাও তখন থেকেই শুরু। সেই ভালো লাগার কারণেই পরীক্ষার আগের সময়টায় একটু পড়তাম। কিন্তু এই পড়াশুনা-চাকরি-পড়াশুনা ব্যালেন্স করতে গিয়ে বহু ট্রিপ, হ্যাং আউট মিস করেছি। আমাকে যারা কাছ থেকে দেখেছে তারা জানে আমি গত ২-৩ বছর ধরে পরীক্ষার আগের দিনগুলো টানা অনেক রাত ঘুমাতাম না। দিনরাত পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিতে যেতাম। পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে এরপর ঘুম। আর কে পায় তখন আমাকে!

এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হয়। আমার অক্সফোর্ডে আসার কয়েক মাস আগে আমার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। এ কী! ক্লাসে সবসময় চুপচাপ থাকা, আর একেবারেই পড়াশুনা থেকে দূরে থাকা মেয়েটা নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অধিকার করেছে! আমার মা যখন ব্যাপারটা শুনলেন তিনিও বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন।

স্নাতকোত্তর পড়ার সময়েই কিন্তু অনেক তত্ত্ব, ব্যবহারিক ক্লাস করেছিলাম যার শিক্ষা দিয়েই আমি আমাদের ‘ঘরে বসে Spoken English’ কোর্সটি বানাই। এই কোর্সটা নিয়ে আমি অনেক অনেক খুশি এবং গর্ববোধ করি। কারণ এই কোর্সটা বানানোর সময় অনেকবার মনে হয়েছিলো, অবশেষে ক্লাসে যা শিখেছি তা কাজে লাগাতে পারছি। এবং তা দিয়ে অন্যদের সাহায্য করতে পারছি। কারণ জীবনে আসলে শুধু নিজে প্রথম হলে তো হবে না, যে শিক্ষাটা অর্জন করেছি তা দিয়ে অন্যদেরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে।

আমার স্নাতকোত্তরে প্রথম হওয়ার খবরটা আরও অনেক আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু আগে মনে হতো, প্রথম হইসি তো কী হয়েছে? এই প্রথম হওয়াটাকে কি কাজে লাগাতে পারছি?

কিছুদিন আগেও মনে হতো পারি নাই। কিন্তু আমাদের Spoken English বই আর কোর্সে আপনাদের সাড়া দেখে মনে হচ্ছে, একটু হলেও মনে হয় কাজে লাগাতে পেরেছি। কতটুকু সাহায্য করতে পেরেছি জানি না, কিন্তু আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে ইংরেজি নিয়ে আপনাদের জন্যে। দোয়া করবেন।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.