Beanibazarview24.com



বলিউডের চলচ্চিত্রে একসময়ে সরব উপস্থিতি ছিল কৌতুক অভিনেতা জনি লিভারের। জনি লিভারের কমেডির মুন্সিয়ানায় বলিউড দর্শকরা হেসে লুটোপুটি খেতো। নব্বইয়ের দশকে এক বছরে ১০-১২টি ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে সময়ের পরিক্রমায় জনি লিভারের কাজের ধারাবাহিকতা কমেছে। বর্তমান সময়ে এই কৌতুক অভিনেতাকে বছরে ২-১টি সিনেমার বেশি কাজ করতে দেখা যায় না।




নব্বইয়ের দশকে বাজিগর সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন জনি লিভার। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র শাহরুখ খান হলেও জনি লিভারের দুর্দান্ত কমিক টাইমিংয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছিল “বাবুলাল” চরিত্রটি। জনি জানান, তখন তিনি নিজের চরিত্রে সাবলীলভাবে অভিনয় করতেন। অনেক দৃশ্যে নিজের মতো করেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। পরিচালকদের কাছেও জনি লিভার হয়ে উঠেছিলেন আস্থাভাজন একজন।




কিন্তু বর্তমানে বলিউডে জনি লিভারের উপস্থিতি কদাচিৎ চোখে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডে তাকে নিয়মিত না দেখার কারণ হিসেবে সরাসরি নায়কদের দিকে আঙুল তুলেছেন এই কৌতুক অভিনেতা। পাশাপাশি বলিউডে কমেডি সিনেমার বাজার আগের মতো না থাকাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।




সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনি লিভার বলেন, “কখনও কখনও হিরোরা ভয় পেতো এবং এর জেরে আমার দৃশ্যে কাটছাঁট করা হতো। আমার দৃশ্যে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে নায়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো। এমনকি চিত্রনাট্যকারদের বলা হতো যেন তাদের কমেডি দৃশ্য দেওয়া হয়। এরপর কমেডি দৃশ্যগুলো লেখকরা ভাগ করে দিতে শুরু করল। ধীরে ধীরে আমার চরিত্রগুলো ছোট হতে শুরু করল। আজ তো আর সিনেমায় কমেডিই নেই।”




দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন জনি লিভার। সিনেমায় কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয় তিনি। সিনেমায় নাম লেখানোর আগে ভারতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিমিক্রি আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন জনি লিভার।




“দুলহে রাজা” এবং “দিওয়ানা মাস্তানা” সিনেমার জন্য দুবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন জনি লিভার। বাবার দেখানো পথে জনি লিভারের ছেলে জেসি লিভার এবং মেয়ে জেমি লিভারও বলিউডে পা রেখেছেন। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “হাউজফুল ৪” সিনেমায় বাবা-মেয়ে একসঙ্গে পর্দায় হাজির হন।
জনি লিভারকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল রোহিত শেঠির “সাকার্স” সিনেমায়। সিনেমাটি অবশ্য বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে জনি লিভারের অভিনয় ঠিকই দর্শকদের মন ছুঁয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.