Beanibazarview24.com
এমবিই হলো ব্রিটিশ রাজপরিবার প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা। সে তালিকায় এবার সদস্য হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক নাদিয়া
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ রাজপরিবার প্রতি বছর মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার (এমবিই) তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকায় এবার সদস্য হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক নাদিয়া সামদানি।
বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মে সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী শিল্পের প্রতি সমাজসেবার জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এমবিই হলো ব্রিটিশ রাজপরিবার প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা।
সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নাদিয়া সামদানি বাংলাদেশের সমসাময়িক শিল্পীদের কাজগুলো দেশে-বিদেশে তুলে ধরছেন। এর মাধ্যমে তাদের শিল্পকর্ম বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং সেগুলোর সংগ্রহশালায় জায়গা পাচ্ছে। এভাবে নাদিয়া সামদানি শিল্পকলার উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাছ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি সম্পর্কে নাদিয়া সামদানি বলেন: “এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শৈল্পিক প্রতিভাকে সমর্থন ও লালন করার জন্য স্বীকৃতি পাওয়া একটি অসাধারণ ব্যাপার। আমাদের কাজের সঙ্গে বিশাল মাত্রার জনসম্পৃক্ততা, ফাউন্ডেশন কীভাবে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে নতুন আন্তঃসাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে উৎসাহিত করেছে তা দেখে খুবই আনন্দ হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে সম্মাননাটি আসায় আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমি আমার চলমান কাজের ক্ষেত্রে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সেবা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটাতে চাই।”
নাদিয়া সামদানি একাধারে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। পাশাপাশি তিনি ঢাকা আর্ট সামিটের পরিচালকও। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার সমসাময়িক শিল্পী ও স্থপতিদের কাজে সমর্থন জানিয়ে তাদের পরিধি বাড়াতে ২০১১ সালে স্বামী রাজীব সামদানির সঙ্গে তিনি সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থাটির উদ্যোগের অংশ হিসেবে নাদিয়া সামদানি ঢাকা আর্ট সামিট প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৭ সালে প্রথম এবং একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে নাদিয়া সামদানি নিজের স্বামীর সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ মন্টব্ল্যাঙ্ক দে লা কালচার আর্টস প্যাট্রোনেজ পুরস্কার পান।
এছাড়াও, তিনি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি শিল্পের প্রচারণার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন এবং ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আর্টরিভিউ-এর ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায়ও জায়গা পেয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.