Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

গোল নয়, পৃথিবী চ্যাপ্টা!


বিশ্বে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সত্যিই বিশ্বাস করেন পৃথিবীটা চ্যাপ্টা! শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক, ‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’-র সদস্যসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে!

কেন এমন উদ্ভট কথা বিশ্বাস করেন তারা? সেকথায় আসার আগে শুরু থেকে শুরু করা যাক। ন্তু গ্রিক দার্শনিক এরাটোস্থেনিস খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে প্রথম প্রমাণ করেন পৃথিবী গোলাকার। তারপর ক্রমে সেই ধারণা পোক্ত হতে থাকে। যার শেষতম প্রমাণ মানুষের মহাকাশে যাত্রা। সেখান থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, আমাদের এই নীল রঙের গ্রহটা গোলাকার।

কিন্তু এরই মধ্যে কীভাবে যেন একদল লোকের এই ধারণা করেন যে পৃথিবীটা চ্যাপ্টা। ব্রিটিশ সাহিত্যিক স্যামুয়েল রোবথাম উনিশ শতকের দাবি করেন, পৃথিবী চ্যাপ্টা এবং এর একদন মাঝখানে রয়েছে উত্তরমেরু। অনেকেই তার আজগুবি তথ্যে কান দিতে শুরু করলেও ব্যাপারটা আরও দানা বাঁধে একেবারে বিংশ শতাব্দীতে এসে। ১৯৫৬ সালে ব্রিটেনে স্থাপিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্ল্যাট আর্থ রিসার্চ সোসাইটি’। কিন্তু ঘটনা হল, এগুলো সবই ছিল বিক্ষিপ্ত ঘটনা।

নতুন সহস্রাব্দে পৌঁছে ইন্টারনেটের রমরমার সময় থেকে মূলত আমেরিকায় এই নিয়ে ফের গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। আর তা ক্রমে বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালে নামটা একটু ছেঁটে নিয়ে নতুন করে ফিরে আসে ‘ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি’। শুরু হয় বার্ষিক সম্মেলন। প্রতিবারই বাড়ছে সম্মেলনের ভিড়। প্রথম দিকে শ’দুয়েক লোক হত। এখন তা বাড়তে বাড়তে ছয়শতে পৌঁছেছে।

মনোবিদ অ্যাশলে ল্যানড্র্যামের মতে, এর সঙ্গে বিজ্ঞানমনস্কতা কিংবা বিজ্ঞান শিক্ষার কোনও যোগ নেই। তার মতে, প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার মানসিকতাই এই সব বিশ্বাসীদের শিকড়ে গেঁথে গিয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটাই ধর্মীয় গোঁড়ামির সঙ্গে তুলনীয়। ল্যানড্র্যাম চান, যে করেই হোক, এই সব মানুষগুলির ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করা দরকার। আর তা করতে হবে বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরই।

তিনি বলছেন, বসে বসে ওদের দেখে হাসলে চলবে না। আমরা হেসে চলব আর ওরা দলভারী করতে থাকবে। ক্রমশ বাড়বে উদ্ভট বিশ্বাসীদের সংখ্যা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.