Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

এখন রোজা রাখি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি : তানজিন তিশা


শোবিজের ​মানুষদের প্রতি ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন, ধর্মীয় আচরণ কেমন তাও জানতে চান অনেকে। তাদের জন্য এই রমজানে আমাদের আয়োজন তারকাদের রোজা রাখা, রোজার স্মৃতি ও নানা বিষয়৷

রোজা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি ইবাদত। রমজানজুড়ে চলে এ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা। এর যেমন আছে ধর্মীয় গুরুত্ব তেমনি এদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও মহিমান্বিত করেছে রমজান।

আমরা অনেকেই শৈশবের রোজা পালন নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগে থাকি। অনেকে রোজা এলে নানা রকম উপলব্ধিও করি। তারকারাও তার ব্যতিক্রম নন। চলতি প্রজন্মের অভিনেত্রী তানজিন তিশা জানান তার রোজা পালন, রোজা নিয়ে শৈশবের স্মৃতি ও উপলব্ধির কথা।

প্রশ্ন : প্রথম কবে রোজা রাখা হয়?
তিশা : মনে আছে ক্লাস ওয়ানে থাকতে প্রথম রোজা রাখি। তখন বুঝতাম যে রোজা রাখা হচ্ছে না ঠিকমতো। তবুও রাখতাম। শৈশবের একটা উত্তেজনা, ইমোশন কাজ করতো। বাট আমি পুরোপুরি রোজা রাখতে পেরেছি ক্লাস ফাইভ থেকে।

প্রশ্ন : শৈশবের রোজা, ইফতার ও সাহরি নিয়ে অনেকেই নস্টালজিয়ায় ভোগেন। আপনার কি মজার কোনো স্মৃতি আছে?

তিশা : শৈশবের রোজা নিয়ে মজার একটা স্মৃতি খুব মনে পড়ে। চিপস খেয়ে রোজা রাখতাম তখন। বাবা-মা বলতেন যে হালকা স্ন্যাকস খেয়েও রোজা রাখা যায়। তুমিও হালকা কিছু খেতে পারো। আসলে তখন অনেক ছোট। রোজা ফরজ হয়নি। উল্টো রোজা রাখলে দুর্বল হয়ে পড়বো ভেবে বাবা-মা কৌশলে খাওয়াতেন। তো তাদের কথা শুনে চিপস খেতাম। সবকিছু থেকে লোভ সামলাতে পারলেও চিপস থেকে পারতাম না। তাই চিপস খেয়ে রোজা রাখতাম।

ছোটবেলায় সাহরিতে দেখা যেত যে উঠতে পারতাম না। তাই না খেয়েই রোজা রেখেছি অনেক। তাছাড়া সেই সময়টায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাহরি ও ইফতার করার মজাটাও খুব মনে পড়ে। মিস করি সেসব দিন। আমি এখনো কাজ না থাকলে বাসায় সবার সঙ্গে ইফতার করি। আনন্দ পাই।

প্রশ্ন : সাহরি ও ইফতারিতে আপনার কেমন খাবার পছন্দ?
তিশা : ইফতারি মানেই আমার কাছে দেশে সাধারণত যেসব খাবার এ সময়টাতে খাওয়া হয় তার সবই খাওয়া। অনেক সময় ভাবি যে ভাজাপোড়া খাবো না। কিন্তু ভাজাপোড়া ছাড়া ইফতার মনে হয় না। তাই খাই। বিশেষ করে জিলাপি না থাকলে মনে হয় যে ইফতার কমপ্লিট হয়নি।

সাহরিতে একটু হেলদি ফুড খাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়। মা সবসময় জোর করে সাহরিতে আমাকে এক গ্লাস দুধ খাওয়াবেনই।

প্রশ্ন : শৈশব ও বড়বেলার রোজার মধ্যে কি পার্থক্য পান?
তিশা : শৈশব ও বড়বেলার রোজা রাখার মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো আগে চিপস খেয়ে রোজা রাখতাম। কারণ তখন সেটা ছিল আনন্দের ব্যাপার। এখন সেটা ফরজ, দায়িত্ব। রোজা রাখি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।

প্রশ্ন : রোজায় উপলব্ধি কি?
তিশা : রোজা প্রতি বছর আসে। অনেক কিছুই উপলব্ধি হয়। সংযম, ধৈর্য, না খেয়ে থাকা মানুষের কষ্ট অনুধাবণ করা। তবে এবারের রোজার উপলব্ধিটা অন্যরকম। করোনাকালের এবারের রোজার মাসটাকে আমি হয়তো আজীবন মিস করবো। এবার পুরো রোজায় বাসায় থেকেছি। পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কেটেছে। একসাথে সবাই ইফতারি ও সাহরি করেছি৷

সেই সঙ্গে পুরো রোজার মাসটাই কেটেছে দারুণভাবে সব নিয়ম মেনে। অন্যান্যবার দেখা যায় কাজের চাপে নামাজ ঠিকমতো পড়া হয় না। এবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছি। নিজের মধ্যে অনেক কিছুর পরিবর্তন দেখেছি। তাই মনে হয় যে এবারের রোজাটাকে মিস করবো আমি।

প্রশ্ন: রোজা, করোনা, সামনে ঈদ; দর্শকের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?
তিশা : আসুন সবাই চেষ্টা করি বাসায় থাকতে। কষ্ট হলেও কিছুদিন একটু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। কারণ এখন সময়টাই এমন যে আপনি আমি নিরাপদ থাকলে আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশ ভালো থাকবে।
-জাগো নিউজ

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.