Beanibazarview24.com






ছোটবেলা থেকেই অদম্য মেধাবী ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলার বাসিন্দা নাজিরা সুলতানা। তিনি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি ১ হাজার ৫৬৮ তম অবস্থান নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।




নাজিরা উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের নরসুন্দর (নাপিত) মো. নজরুল ইসলাম ও হালিমা বেগম দম্পতির সন্তান।২০২০ সালে বগুড়া ছয়পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে নাজিরা ভর্তি হন বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে।




সেখান থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে বগুড়া রেটিনা কোচিং সেন্টরে ভর্তি কোচিং করেন তিনি। নাজিরা সুলতানার মা হালিমা বেগম বলেন, তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে নাজিরা বড়। পড়াশোনার প্রতি ছোটবেলা থেকেই অনেক আগ্রহ ছিল তাঁর।




তাঁর বাবা দিনমজুর নরসুন্দর নাপিতের কাজ করেন আর তিনি গৃহিণী। মেয়ের আগ্রহ দেখে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন তাঁরা।
হালিমা বেগম আরও বলেন, আজ সেই কষ্টের ফল মহান আল্লাহর রহমতে পেয়েছি। আমার খুব আনন্দ লাগছে, খুব খুশি লাগছে। নাজিরাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। আজ যখন সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে তখন সেই কষ্ট আর নেই। তবে এখন দুশ্চিন্তায় আছি।
মেডিকেলে চান্স তো পেল, এখন সিলেট গিয়ে পড়ালেখা করার খরচ কীভাবে আসবে? আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আমার মেয়ের লেখাপড়াসহ পরবর্তী সহাযোগিতার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সেই সাথে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যাতে আমার মেয়ে ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে। জানতে চাইলে নাজিরার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মতো গরিব বাবার সন্তান মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, এ জন্য গর্বে আমার বুকটা ভরে ওঠে, এমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা বাবার দুশ্চিন্তাও কম নয়।
তিনি বলেন, আমি দিনমজুর, অন্যের সেলুনে নরসুন্দর নাপিতের কাজ করি। এ অবস্থায় মেয়ের পড়ালেখার খরচ কোথায় পাব, তা ভেবে কিনারা পাচ্ছি না।যদি সমাজের সচ্ছল, বিত্তবান বা কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসত, তাহলে আমি আমার মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে পারতাম।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.