Beanibazarview24.com
শত্রুর ছো’ড়া বো’মার খোসায় ফুল ফোটাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নারী
প্রতিবাদ যে ফুল দিয়েও হয়, সেটা নতুন নয়। তবে শত্রুর বারুদে ফুল ফুটিয়ে প্রতিবাদ বোধহয় এটিই প্রথম! বছরের পর বছর ধরে চলা সং’ঘা’তে যখন ইসরায়েলি সে’নাবাহিনীর ছু’ড়ে মা’রা বো’মার আ’ঘা’তে প্রাণ হা’রান বহু ফিলিস্তিনি নর-নারী-শিশু। তখন করুণার প্রতীক হয়ে সেসব বো’মার খোসা সংগ্রহ করে তাতে ফুল চাষ করছেন ফিলিস্তিনি এক নারী।
মহিয়সী এই নারীর নাম নূর-ই-ফাতিমা কাওমী। তিনি ফিলিস্তিনের রাজধানী রামাল্লাহর খুব কাছেই বসবাস করেন। বাড়ির পাশেই তিনি গড়ে তুলেছেন এই ব্যতিক্রমী বাগান। একটু একটু করে বাগানটি অনেক বড় হয়েছে। বিশ্ববাসীরও চোখে পড়েছে তাতে।
ঘুম থেকে উঠে ফাতিমা কাওমীর প্রথম কাজই হচ্ছে শত শত গ্রেনেড, মর্টার শেল, বুলেটের খোসা কুঁড়ানো। তারপর সেগুলো তিনি অতি যত্নে পরিষ্কার করেন। রোদে শুকিয়ে এরপর সেগুলোর ভেতর ফুলের বীজ রোপন করেন। এখানেই তার কাজ শেষ নয়। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে পানি দেন, একটু একটু করে চারাগুলোকে বড় করেন।
মরুভূমির তপ্ত বালিতে গ্রে’নেডের খো’সায় ফুল ফোটাতে নূর-ই-ফাতিমা কাওমীকে একটা লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে অন্যান্য প্রতিকূলতা তো রয়েছেই! তবে মহিয়সী এই নারী যেভাবেই হোক, গাছগুলোকে রক্ষা করেন। তারপর একসময় তার গাছগুলো ভরে ওঠে স্বর্গীয় ফুলে ফুলে।
পৃথিবীতে যে ম’রণা’স্ত্রগুলো তৈরিই হয়েছে মানুষের অস্তি’ত্ব বিনাশের জন্য; সেখানেও নূর-ই-ফাতিমারা প্রচ’ণ্ড ভালোবাসা আর গভীর আবেগ দিয়ে ফুল ফোটান। তিনি বিশ্বাস করেন, এই যে পৃথিবীতে এতো রঙ, এতো বর্ণের মানুষ; এটাই পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.