Beanibazarview24.com
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। সম্প্রতি তিনি মা.দ.ক মা.মলায় গ্রে.ফতার হয়েছেন। মা.দ.ক মামলায় পরীমনির তৃতীয় দফায় রি.মান্ড শেষে গেলো ২১ আগস্ট দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হলেও জামিন পাননি তিনি। ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম নায়িকাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
দেশীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে- কারা সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে আরো ১৩ জনের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেলে থাকতে দেওয়া হয়েছে। পরদিন ১৪ আগস্ট সকালের দিকে মহিলা ডাক্তার গিয়ে পরীমনির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তার শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেছেন।
প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কা.রাগারের রেজিস্ট্রারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। পরীমনির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কারা কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান।
ওই সময় এক কারা কর্মকর্তা পরীর কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’
পরীমনির জবাব, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’
পরে কারা কর্মকর্তারা নায়িকাকে বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দী হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’
‘আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড?’ কারা কর্মকর্তার এই প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ কারাগারের রেজিস্ট্রারে সেই তথ্যই লেখা হয়েছে। যদিও পরীর একাধিক বিয়ের খবর প্রচলিত আছে।
এক কারা কর্মকর্তা বলেন, বন্দী কারাগারে যাওয়ার পর রেজিস্ট্রারে তার পরিবারের সবার নাম লিখে রাখা হয়। যখন তার মুক্তি মেলে তখন ওই তথ্য নতুন করে যাচাই করা হয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন একজন বললো তার তিন ছেলে আছে। তখন জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার মেজো ছেলের নাম কী? বলার পর সেটা রেজিস্ট্রারে লিখে রাখা হয়। মুক্তির সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার মেজো ছেলের নাম কী? যদি নামের গরমিল না হয় তাহলে ধরে নেয়া হয় যে সঠিক ব্যক্তিকেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.