Beanibazarview24.com
করোনাকালে অবসর সময় কাটাতে ঘুড়ি ওড়ানোকেই অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকে। শহর থেকে গ্রাম—সর্বত্রই চোখে পড়ে ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সুতা থেকে ছিঁড়ে ঘুড়ি বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ার এবং তারের মধ্যে আটকে যায়। এতে বিপজ্জনক ঘটনা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তৃত বিদ্যুতের ৪০০ কেভি, ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের আটকে থাকা ঘুড়ি ও মোটা সুতা ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে শর্ট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটাতে পারে। এছাড়াও ভেজা অবস্থায় মোটা সুতা বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে এক হয়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পড়ে থাকলে বিদ্যুতায়িত হয়ে বড় ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ঘুড়ি ও মোটা সুতা আটকে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি লাইন, ঘোড়াশাল-আশুগঞ্জ ২৩০ কেভি লাইন, ঘোড়াশাল-আশুগঞ্জ ১৩২ কেভি লাইন, ভুলতা-আশুগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইন, হরিপুর-নরসিংদী ১৩২ কেভি লাইন, কুমিল্লা (উত্তর)-চৌদ্দগ্রাম ১৩২ কেভি লাইন, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা ১৩২ কেভি লাইন, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ ১৩২ কেভি লাইনসহ আরো কয়েকটি বিদ্যুতের লাইন শর্ট-সার্কিট হয়ে ট্রিপ হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সারাদেশে চলমান ঝড়-বৃষ্টি মৌসুমে এ ধরনের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। তাই বিদ্যুতের লাইন, টাওয়ার ও উপকেন্দ্রের কাছাকাছি ঘুড়ি উড়ানো পরিহার করতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরবন্দি অনেক তরুণ ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছেন। লকডাউন উঠে গেলেও তারা নিয়মিতই সকাল-বিকাল আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন। কেবল ঘুড়ি নয়, লাইলন দড়ি দিয়ে এখন বড় ‘চঙ’ তৈরি করে আকাশে উড়াচ্ছেন। এর ফলে বৈদ্যুতিক গোলযোগসহ বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞরা জনসাধারণকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.