Beanibazarview24.com
নতুন সমস্যার মুখোমুখি প্লুটো। জানা যাচ্ছে, প্লুটোকে ঘিরে থাকা বায়ুমণ্ডল ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবী থেকে ৪.৮ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে বরফাবৃত এই গ্রহাণুটি। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, সূর্য থেকে এটি ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। প্লুটোর বায়ুমণ্ডল ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্লুটোর পাতলা বায়ুমণ্ডল অধ্যয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর একাধিক স্থান থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্লুটোকে পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা, জানাচ্ছে স্পেস ডট কম। প্লুটোর বায়ুস্তর সাধারণত তৈরী নাইট্রোজেন দিয়ে। সাউথ-ওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করেন।
২০১৮ সাল নাগাদ প্লুটো নিয়ে চর্চা শুরু করেন তারা। তারা জানান, সূর্য থেকে প্লুটোর দূরে সরে যাওয়ার সঙ্গেই যোগ আছে প্লুটোর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব কমে যাওয়াও। সূর্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার দরুন এটি ক্রমশ শীতল থেকে শীতলতর হয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, তাপীয় জড়তা নামে পরিচিত একটি ঘটনার কারণে এর পৃষ্ঠের চাপ এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই রিপোর্ট থেকে আরো একটি বিষয় জানা গেছে, এতোদিন প্লুটোর পৃষ্ঠের নাইট্রোজেন বরফের আধারগুলি পৃষ্ঠের নীচে সঞ্চিত তাপ দ্বারা উষ্ণ ছিলো। নতুন তথ্য বলছে, তারা ঠান্ডা হতে শুরু করেছে, বলেছেন বিজ্ঞানী ড. লেসলি ইয়াং৷
পৃথিবীর মতোই প্লুটোর বায়ুমণ্ডলও তার পৃষ্ঠদেশে সঞ্চিত বরফের বাষ্প চাপের দ্বারা সমর্থিত। এর অর্থ হলো সারফেস আইস টেম্পারেচারে সামান্যতম পরিবর্তনও বায়ুমণ্ডলের ঘনত্বে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, সূর্যের চারদিকে কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করতে প্লুটোর সময় লাগে ২৪৮ আর্থ ইয়ার (পৃথিবীর বছর)। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.