Beanibazarview24.com
গত বছর তথা ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হামলায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের বছর এর সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি। দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
এফবিআই সূত্রে জানা যায়, ধর্মীয় কারণে অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৭ ভাগ। অন্যদিকে শুধু ইহুদি এবং এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে ১৪ শতাংশ। ল্যাটিনোদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অপরাধ ঘটেছে ৫২৭টি। এর আগের বছরের তুলনায় এটি ৮ দশমিক ৭ ভাগ বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর হামলার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে বেশি। তাদের ওপর হামলার সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল এক হাজার ৯৪৩টি।
তবে এফবিআই বলছে, এই সংখ্যা গত বছর কিছুটা কম হয়েছে, যার সংখ্যা এক হাজার ৯৩০টি। এফবিআইয়ের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিদ্বেষমূলক অপরাধের তথ্য আরও বিস্তারিতভাবে সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে।
এফবিআই জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের সংজ্ঞা দেয় এভাবে, ‘যে অপরাধের পেছনে বর্ণ, জাতি, ধর্ম, পূর্বপুরুষের ইতিহাস, যৌন দৃষ্টিভঙ্গি, শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা এবং লিঙ্গের প্রতি বৈষম্য প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।’
গত বছরের আগস্টে টেক্সাসের এল পাসো শহরে মেক্সিকানদের ওপর চালানো হামলায় ২২ ব্যক্তি নিহত হয়। ২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরই জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। গোঁড়ামি এবং বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বক্তব্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে বলে এ নিয়ে যারা আন্দোলন করেন তারা জানিয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার হেইট অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ব্রায়ান লেভিন বলছেন, বিদ্বেষমূলক অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি নতুন এক নৃশংস পরিস্থিতির পটভূমি তৈরি করেছে।
বিদ্বেষমূলক অপরাধ নিয়ে এফবিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ৭ হাজার ৩১৪টি অপরাধ ঘটেছে। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১২০টি। কিন্তু ২০০৮ সালে যখন থেকে এ হিসেব রাখা শুরু হয় তখন জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের সংখ্যা ছিল ৭৭৮টি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.