Beanibazarview24.com
প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের বলা হয়, যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করার পর অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ভালো পরিবেশে বসবাস করা এবং উন্নত জীবন আর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার আশায় বাংলাদেশিরা প্রবাসে পাড়ি জমান।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বসবাস করে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন। সৌদি আরব ছাড়াও আরব বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে যেমন- কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও বাহরাইনে প্রচুর পরিমাণের বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করে। সেখানে বাংলাদেশিদের বিদেশী কর্মী হিসেবে ধরা হয়। যদিও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে প্রবাস জীবনে কর্ম করে এবং ব্যবসা করেও ভালো অবস্থানে আছেন।
প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের স্থান এখন সপ্তম। করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আসা প্রবাসী আয় কিছুটা কমলেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স আয়। ইউরোপের দেশ গ্রিসসহ সারা বিশ্বে এক কোটি বিশ লাখেরও বেশি প্রবাসী বৈধভাবে বসবাস করছে, অবৈধ পথে আসা বা বৈধ কাগজপত্রহীন কতজন বাংলাদেশি আছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই, তবে প্রতিদিনই কোন না কোন ভাবে বৈধ-অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি।
গ্রিক অ্যাসাইলাম আইন ৪৬৩৬/২০১৯ এর ৮৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশকে “তৃতীয় বিশ্বের নিরাপদ দেশ” হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। যার তথ্য দেশের অভ্যন্তরীণ আইনি স্থিতি ব্যবস্থা, দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক আন্তঃসরকারি চুক্তি এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সরকার বদ্ধ পরিকর বলে উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। একই আইনের আওয়াতায় দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ সহ আফগানিস্থান ও পাকিস্তান কেও নিরাপদ দেশের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অভিবাসন প্রত্যাশী দরখাস্ত বাতিলের এক পর্যায়ে গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং তার পাশাপাশি ডিপোর্টকৃত প্রবাসীদের বৈধ উপায়ে আসার সুযোগের প্রেক্ষিতে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে ” গ্রিস-বাংলাদেশ” সরকারের মধ্যে। তবে কবে নাগাদ এ চুক্তি কার্যকর হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রিক সরকারের অ্যাসাইলাম ও অভিবাসন মন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন। দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে চার হাজার কৃষি শ্রমিক বৈধভাবে গ্রিসে আনার চুক্তি হয়েছে কিন্তু পক্ষান্তরে যেসব অবৈধ বা বৈধ কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিরা গ্রিসে অবস্থান করছেন তাদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত নিতে হবে, অন্যথায় জোরপূর্বক (ডিপোর্ট) ফেরত পাঠানো হবে।
উল্লেখ গত বছর অক্টোবরে ১৯ জন বাংলাদেশিকে জো.রপূর্বক বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একই অবস্থা হয়েছিল পাকিস্তান সরকারেরও। কিন্তু পাকিস্তান সরকার বৈধপথে গ্রিসে কৃষিশ্রমিক নেওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও গ্রিস থেকে অবৈধ পাকিস্তানিদের ফেরতের চুক্তি করেননি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.