Beanibazarview24.com






হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চার মাসের মধ্যে ফের হাসপাতা’লে ভর্তি হতে হচ্ছে ব্রিটেনের এক-তৃতীয়াংশ করো’নাভাই’রাস (কোভিড-১৯) আ’ক্রান্ত রোগীর। একই সময়ে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি হওয়া এসব রোগীর মধ্যে প্রতি আটজনের একজন প্রা’ণ হারাচ্ছেন। করো’নার দীর্ঘমেয়াদী উপসর্গগুলোকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।




খবরে বলা হয়, করো’না বিশ্বজুড়ে মানুষের শ্বা’সযন্ত্রে গুরুত্বর সমস্যা সৃষ্টিকারী ভাই’রাস হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাবে কিডনী, ফুসফুস ও যকৃতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভাই’রাসটির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিবেচনায় চিকিৎসকরা সুস্থ হওয়া করো’না রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে ক্ষতিসহ অন্যান্য জটিলতা শনাক্তে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন।




উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক গবেষণাটির জন্য বৃটেনের ইউনিভা’র্সিটি কলেজ লন্ডন, জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদপ্তর ও ইউনিভা’র্সিটি অব লেস্টারের গবেষকরা গত বছরের ৩১শে আগস্টের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়া প্রায় ৪৮ হাজার করো’না রোগীর মেডিকেল রেকর্ডসের সঙ্গে সাধারণ জনগণের একটি নিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠীর মেডিক্যাল রেকর্ডসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রেকর্ডগুলোতে পুনরায় হাসপাতা’লে ভর্তি, মৃ’ত্যু, শ্বা’সযন্ত্র-সংশ্লিষ্ট রোগের পাশাপাশি কিডনি, যকৃৎ, ফুসফুসজনিত রোগের হার হিসাব করতে ব্যবহৃত হয়েছে।




রেকর্ডগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়া করো’না রোগীদের এক-তৃতীয়াংশই গড়ে ১৪০ দিনের মধ্যে ফের হাসপাতা’লে ভর্তি হয়েছেন। আর তাদের প্রতি আটজনের মধ্যে একজন মা’রা গেছেন।
ইউনিভা’র্সিটি কলেজ লন্ডনের ইন্সটিটিউট অব হেলথ ইনফরম্যাটিকস-এর ডা. অমিতাভ ব্যানার্জি বলেন, এটি একটি উদ্বেগের বিষয়। আমাদের বিষয়টি আরো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। আম’রা এখানে স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছি যে, এটি কোনো হালকা অ’সুখ নয়। আমাদের সুস্থ হওয়া করো’না রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন যাতে আগেভাগেই অঙ্গ প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করা যায়।
উল্লেখ্য, করো’না আ’ক্রান্ত হওয়ার চার মাস পর্যন্ত অব্যাখ্যাত উপসর্গ দেখা গেলে সেটিকে ‘দীর্ঘ কোভিড’ বলা হয়। তবে এ ধরণের সংক্রমণে কী’ ধরণের ক্ষতি হতে পারে তার কোনো স্পষ্ট প্যাটার্ন এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি চিকিৎসকরা।
সুস্থ হওয়া করো’না রোগী ও নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠীর মেডিক্যাল রেকর্ডসের তুলনায় দেখা গেছে, করো’না থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদযন্ত্র-সংশ্লিষ্ট রোগ ও ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আরো কিছু অঙ্গেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ৭০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে একাধিক অঙ্গে সমস্যার হার বেশি দেখা গেছে।
এই গবেষণাটিতে প্রকাশ পেয়েছে যে, করো’না ভাই’রাস হৃদযন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও শ্বা’সযন্ত্রের রোগের ঝুঁ’কি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এসব জটিলতার কারণও হতে পারে।
ব্যানার্জি বলেন, এখন অবধি আম’রা ভাবতাম, করো’নায় হৃদযন্ত্রের রোগ, কিডনীর রোগ, ডায়াবেটিসের ঝুঁ’কি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু করো’না আ’ক্রান্ত হওয়ার কারণেও এসব জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.