Beanibazarview24.com
গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়ার ৯৫ বছর বয়সী বাছিরন বেগম মা.রা যাওয়ার ৯ মাস পর ফিরে আসার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (১১ মে) ওই বৃ.দ্ধাকে দেখতে মৃত বাছিরনের মেয়ে মাজেদা বেগমের বাড়িতে লোকজনের ভিড় জমে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফিরে আসা কথিত ওই বৃ.দ্ধাকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাজেদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, বৃ.দ্ধাকে দেখতে আমার মৃ.ত মায়ের মতো মনে হয়েছে। তাই লোকজন আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছে। কিন্তু তিনি আমার মা নন।
মাজেদার বড় ভাই গেদা মিয়া বলেন, আমার মা ৯ মাস আগে মা.রা যান। তার জানাজা পড়ানো হয়। তারপর গাইবান্ধা গোরস্থানে দা.ফন হয়েছে। আজ শুনি আমার মা ফিরে এসেছেন। ওই নারীর চেহারা আমার মায়ের চেহারার সঙ্গে মিল আছে। এ জন্য লোকজন ওই নারীকে আমার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। আসলে তিনি আমার মা নন।
স্থানীয়রা জানান, ৯ মাস আগে ডেভিড কোম্পানীপাড়ার বাছিরন বেগম খাট থেকে পড়ে মা.রা যান। আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে যথারীতি দাফনও করেন। হঠাৎ আজ সকালে ছোট মেয়ে মাজেদা বেগমের বাড়ি-সংলগ্ন গাইবান্ধা রেলস্টেশনে আসেন। তার চেহারা ও আচরণ মৃ.ত বাছিরনের মতো হওয়ায় লোকজন বাছিরনের মেয়ে মাজেদা বেগমের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় শহরজুড়ে ব্যাপক আলোচনা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম রুবেলসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ৯ মাস আগে আমরা মাজেদা ও গেদার মা বাছিরন বেওয়াকে কব.রস্থ করেছি। তার ফিরে আসার প্রশ্নই ওঠে না। এর পেছনে কোনো র.হস্য রয়েছে।
গাইবান্ধা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ডেভিড কোম্পানীপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কবির বাদল বলেন, যে মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছে, তার ফিরে আসা অবাস্তব। এটা তার ছেলে-মেয়ের কোনো অসৎ উদ্দেশ্যের কারসাজি হতে পারে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, আনুমানিক ৬০ কি ৬৫ বছরের ওই নারী খুলনা জেলা থেকে গাইবান্ধায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বেশ দুর্বল। বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না। তার নাম পদ্ম বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলওয়ে স্টেশন-সংলগ্ন বাড়ির মাজেদা বেগম তাকে তার মায়ের মতো দেখতে মনে হলে কাছে গিয়ে মা ডাকেন। এরপর বেশ কিছু সময় কথাবার্তা বলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, কথিত বাছিরনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার সঠিক পরিচয় জানা গেলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটি নিন্তান্তই গুজব। গুজবে কান না দিয়ে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.