Beanibazarview24.com
মৃ’ত্যুর ২৪ বছর পরও ফুরায়নি তার আবেদন, কাটেনি তার প্রভাব। বেঁচে থাকতেই তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্রেজে পরিণত হয়েছিলেন। তার স্টাইল, ফ্যাশন ছিলো ট্রেন্ড৷ আর অকালমৃ’ত্যু তাকে দিয়েছে অমরত্ব। আজও তার জনপ্রিয়তায় সমক্ষক কেউ এই দেশের সিনেমাতে নেই।
এদেশে সর্বকালের সেরা স্টাইলিস্ট ও ফ্যাশনেবল আইকন হিরো সালমান শাহের আজ জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবারে তিনি ৪৯ বছরে পা রাখতেন।
সালমান শাহ ১৯৭১ সালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। তিনি পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন। ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভান। তার পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিনেমায় আসার পর তার স্ত্রী সামিরার সঙ্গে পরামর্শ করে নাম রাখেন সালমান শাহ। সেই নামের রোশনাই ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলায়।
কিশোর বয়সে সালমান ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে।
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে জগতে পা রাখেন এই নায়ক। প্রথম ছবিতেই সারাদেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে সালমান শাহ ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন। তার প্রায় প্রতিটি ছবি ছিল ব্যবসাসফল। সালমানের সর্বমোট মুক্তিপ্রাপ্ত ২৭টি ছবির ১৪টিতেই তার নায়িকা ছিলেন শাবনূর।
নায়ক সালমান শাহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত, দেন মোহর, তোমাকে চাই। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় বিক্ষো’ভ ও আন’ন্দ অ’শ্রু, চাওয়া থেকে পাওয়া, বিচার হবে। ১৯৯৫ সালে মু’ক্তি পায় জীবন সংসার, মহা মিলন, স্বপ্নের পৃথিবী, স্বপ্নের ঠিকানা, এই ঘর এই সংসার।
১৯৯৬ সালে মু’ক্তি পায় কন্যাদান, মায়ের অধিকার, প্রেমযু’দ্ধ, সত্যের মৃ’ত্যু নাই, সুজন সাথী, স্বপ্নের নায়ক, তুমি আমার প্রভৃতি। ১৯৯৭ সালে মু’ক্তি পায় বুকের ভেতর আ’গুন ও প্রে’ম পিয়াসী চলচ্চিত্র।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.