Beanibazarview24.com
১৫ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টেনে বলিউড অভিনেত্রী সানা খান জানিয়েছিলেন, অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ইসলামের পথে চলতে চান। এই ঘোষণার মাস না গড়াতেই গেল বছরের ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সাবেক এই বলিউড অভিনেত্রী। পাত্র ভারতের গুজরাটের সুরাটের বাসিন্দা মুফতি আনাস সায়েদ। তারপর জীবন বদলে গেছে সানার।
কেন নাম-যশ-অর্থ আর চাকচিক্যময় শোবিজ ছেড়ে হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানা খান? সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক এ অভিনেত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নতুন সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সানা খান। সেখানে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ভিডিওতে সানা বলেছেন, নাম-যশ-অর্থ সব ছিল তাঁর। যা চেয়েছেন, সব কিছু করতে পেরেছেন। এত কিছু থাকার পরেও সব কিছুতে একটি জিনিসের অনুপস্থিতি বোধ করছিলেন। সেটা হলো শান্তি। কোনও কিছুতেই যেন সানার হৃদয়ে শান্তি মিলছিল না।
‘মুত্তাবিফি হুজ্জাজ’ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সানা বলেন, ‘আমি স্বপ্নে নিজেকে জ্বলন্ত কবরে জ্বলতে দেখতাম। এই স্বপ্ন আমার কাছে মনে হয়েছিল কোনও বিশেষ বার্তা।’ এরপর তিনি শোবিজ ছেড়ে দেন। ইসলামের পথে পা বাড়ান। সময়টা ২০১৯ সালের রমজান।
ক্যারিয়ারে হিন্দি, মালয়ালাম, তামিল, কন্নড় ও তেলেগু ভাষার সিনেমায় দেখা গেছে সানা খানকে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন ও রিয়েলিটি শোতে দেখা যায় তাঁকে। পাঁচ ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন সানা। ২০১২ সালে জনপ্রিয় ও বিতর্কিত টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বসের প্রতিযোগী ছিলেন সানা এবং চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিলেন।
২০০৫ সালে ‘ইয়ে হ্যায় হাই সোসাইটি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় সানা খানের। এর পর বলিউডে ‘হাল্লা বোল’, ‘জয় হো’, ‘ওয়াজা তুম হো’ ও ‘টয়লেট : এক প্রেম কথা’র মতো সিনেমা করেন। রিয়েলিটি শো বিগ বসের পাশাপাশি ‘ফেয়ার ফ্যাক্টর : খাতরোঁ কে খিলাড়ি’র ষষ্ঠ মৌসুমে অংশ নিয়েছিলেন।
২০২০ সালের অক্টোবরে সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউডকে বিদায় জানিয়েছিলেন সানা খান। এরপর নতুন জীবন শুরু হয় তাঁর। সেই জীবন যে সুন্দর যাচ্ছে, তা তাঁর ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারলেই টের পাবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.