Beanibazarview24.com
অনেকেই নানা ঘা’ত-প্রতিঘা’ত মাড়িয়ে সফলতার সোনার হরিণটি অর্জন করেন। আবার ঘা’ত-প্রতিঘা’তে পড়ে হতা’শায় ডুবে যান অনেকে। হ’তাশায় ডুবে থাকা ব্যক্তিদের সফলতা পাওয়ার নজির খুবই কম। কিন্তু হ’তাশা থেকে সফলতার নজির গড়েছেন কুমিল্লার মেয়ে শামস আফরোজ চৌধুরী।
হতা’শাকে পুঁজি করেই লোক হাসিয়েই তিনি এখন পুরোদমে স্বাবলম্বী। এখন প্রতিমাসে শামস আয় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। সেই টাকা আবার যেকোনো চাকরিজীবীর আয়ের থেকে কয়েক গুণ বেশি।
জানা যায়, চাকরি না পাওয়ার হতা’শা থেকে একটি ভিডিও করেন শামস আফরোজ। সেই ভিডিওটি ফেসবুক পেজ ‘থটস অব শামস’-এ আপলোড করেন।
ওই ভিডিওতে শামস বলেন, আমার সিভি না চেহারায় স’মস্যা আমি জানি না। তারা আমাকে পরীক্ষাই দিতে দিব না। পরীক্ষা দেয়ার আগেই বাতিল করে দিচ্ছে এরা।
চাকরি না পাওয়ার হ’তাশার জেরে করা ভিডিওটি তাকে সবার কাছে পরিচিতি এনে দেয়। এতে কপাল খুলে যায় শামস আফরোজ চৌধুরীর। এখন বিনোদনের ভিডিও ‘থটস অব শামস’ নামক ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপলোড করেন তিনি।
শামস নিজেকে প্রতিটি ভিডিওতে নানা চরিত্রে উপস্থাপন করেন। কখনো শামসু ভাই, কখনো কুলসুম, আবার কখনো নানি কিংবা আম্মাজান সাজেন তিনি। সব চরিত্রেই অভিনয় করে দর্শকদের হাসাতে পারেন শামস। আর সেই বিনোদনের ভিডিওই তার প্রধান আয়ের উৎস।
শামস তার ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার পরই হাজার হাজার শেয়ার হয়। এসব ভিডিও বিভিন্ন পেজেও ঘুরতে থাকে। এতে ধীরে ধীরে পুরোধমে কনটেন্ট ক্রেইটর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।
শামস আফরোজ চৌধুরী বলেন, আমার প্রথম চিন্তায় থাকে আমি যে ভিডিও বানাবো তা যেন সবার সঙ্গে রিলেট (সম্পর্কিত) হয়। কয়েকটি কেরেক্টারে মুভি নিয়ে প্রথমে একটি ভিডিও করি। ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, যদি কেউ মাসে তিন চারটা ভিডিও দিতে পারে, তবে মাসে পঞ্চাশ হাজারের অধিক টাকা আয় করা সম্ভব।
এদিকে নিজের জেলা বলেই কুমিল্লার ভাষায় তিনি ভিডিও বানান। এতে কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষা শুনে মজা পান নেটিজেনরা। এতে তার ফলোয়ারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এরইমধ্যে ‘থটস অব শামস’ নামের ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা সাড়ে আট লাখে দাঁড়িয়েছে। একই নামের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। শামসের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ড তার ভিডিওতে স্পন্সরও করছে।
শামসের লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরে তার এই প্ল্যাটফর্মকে তরুণ্যের ভিন্নধর্মী অনুপ্রেরণা হিসেবে দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দেয়া।
-ডেইলি বাংলাদেশ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.