Beanibazarview24.com
‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে একই অভিযোগে অনন্য মামুন ও শাহীন মৃধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ছবিতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া একজন ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে পুলিশকে হেয় করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নেই। পরিচালকই এর জন্য মূলত দায়ী।
এ বিষয়ে পুলিশ আরো জানায়, মামলার প্রথম এজাহারে তিন নম্বর আসামী হিসেবে অর্চিতা স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অপরাধের দায়ভার বিশ্লেষণ করে এজাহার থেকে এই অভিনেত্রীর নাম বাদ দেয়া হয়।
এর আগে ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমার ওই দৃশ্যটি নিয়ে সময়নিউজকে স্পর্শিয়া বলেন, আমি ধর্ষিত হয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছি। সেখানে তারা এজহারনামা লিখছে। এজহারনামায় যা যা থাকে তার উত্তর দিয়েছি। আর যখন সিনেমাটির শুটিং হয় তখন বলছিলাম, এজহারনামা লিখতে পুলিশ প্রশ্ন করবে। তার উত্তর দিতে হবে। কিন্তু যেভাবে ডায়ালগগুলো দেয়া হয়েছে তা পুলিশের জন্য হেয় করা হয়েছে। সিনেমাটির যদি সেন্সর করা হতো তাহলে ওই দৃশ্যটিসহ সিনেমাটি সেন্সর হতো না।’
উল্লেখ্য, একটি অনলাইন প্লাটফর্মে ‘নবাব এলএলবি’ নামের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার দৃশ্যে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় পরিচালক অনন্য মামুন ও সেই দৃশ্যে অভিনয় করা অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেফতার করে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই থিয়েটারে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমাটি। সিনেমার একটি দৃশ্য পুলিশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, ধর্ষণের শিকার এক নারী মামলা করার জন্য থানায় যান। সেখানে পুলিশের এক এসআই (অভিনয় করেছেন শাহীন মৃধা) ওই নারীকে ধর্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.