Beanibazarview24.com
শরীয়তপুরে কবর থেকে শিশুর ম.রদে.হ তুলে এনে সেই ম.রদে.হ পাশে নিয়ে রা.তযাপন করেছে রাজন ফকির নামে এক কিশোর।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের নাগেরপারা ইউনিয়নের পশ্চিম কাচনা গ্ৰামে এমন ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে রাজনের ঘর থেকে মৃ.ত শি.শুর ম.রদে.হ উ.দ্ধার করে পুনরায় দা.ফন করেছেন স্বজনরা।
রাজন ফকির নিহ.ত শি.শুর আত্মীয় ও মা.নসিক ভা.রসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের।
এ ঘটনায় থানায় কোনো অ.ভিযোগ করে নি নি.হ.ত ওই শিশুর পরিবার। গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন চ্যানেল 24 কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নি.হ.ত ওই শিশুর বাবা জানান, গত বুধবার দুপুরে তার ছেলে নাঈম মাদবর (৩) পানিতে ডুবে মা.রা যায়। সন্ধ্যায় পশ্চিম বড় কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পারিবারিক ক.বরস্থানে তাকে দা.ফন করা হয়।
কিন্তু সকালে কবরের ভেতর নাঈমের ম.রদে.হ পাওয়া যায়নি। কবরের মাটি দুপাশে সরানো অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ম.রদে.হ শিশুটির বাবার ফুফাতো ভাই মোকলেস ফকিরের ঘরে পাওয়া যায়। এসময় শিশুটির পরনে ট্রাউজার ও শার্ট পরানো অবস্থায় ছিল।
পরে আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় শিশুটিকে পুনরায় ওই ক.বরেই দা.ফন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে। অভিযুক্ত ওই কিশোর মা.নসিক ভার.সাম্যহীন হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
নিহ.ত নাঈমের দাদা সাঈদুল মাদবর জানান, কবর খুঁড়ে ম.রদে.হ তুলে এনে জামা–কাপড় পরিয়ে একসঙ্গে রা.তে ঘুমিয়েছে রাজন ফকির। শি.শুটি কবরে একা একা কীভাবে থাকবে, তাই সে কবর থেকে তুলে নিয়ে এসেছে। দা.ফনের সময় সবাই নাইমকে দেখেছে কিন্তু সে দেখতে পারেনি বলে তুলে নিয়ে আসছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদে রাজন ম.রদে.হ তুলে আনার কথা স্বীকার করে এসব জানিয়েছেন।
প্রতিবেশী তোফায়েল মাস্টার জানান, কবরে ম.রদে.হ না থাকার বিষয় সকালে জানাজানি হলে খোঁজখবর শুরু হয়। কিশোর রাজন ফকিরের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, সে ম.রদে.হ তুলে নিয়ে গেছে।
পরে তার এক ভাইয়ের ঘরে গিয়ে শিশুটির ম.রদে.হ পাওয়া যায়। ওই ভাই ঢাকায় থাকে। ঘরটি খালিই পড়ে থাকে।
ওই প্রতিবেশী আরও জানান, খাটের ওপর রেফ্রিজারেটরের কার্টন বিছিয়ে শিশুটিকে ট্রাউজার ও শার্ট পরিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে। বলছে, রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল তারা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.