Beanibazarview24.com
তিন দিনের ছুটিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নেমেছে পর্যটকের ঢল। সেখানকার হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে রুম খালি নেই বলে জানিয়েছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, এক মাস আগে থেকেই হোটেল-মোটেল বুক করা শুরু করেছেন পর্যটকরা। গত সপ্তাহ থেকে কোনো রুম খালি নেই।
লাউয়াছড়ার ট্যুর গাইড সাজু মারচিয়াং জানান, সকাল থেকে পর্যটকদের যে ভিড় দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলবে এবার।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর রোববার বড়দিনের ছুটি। এই তিন দিন মিলিয়ে পর্যটকরা ছুটছেন দেশের নানা প্রান্তে।
ঢাকা থেকে সপরিবারে শ্রীমঙ্গল এসেছেন ব্যবসায়ী আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার এসেই হোটেল রিজার্ভ করি। এবার এসে সেটা করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজারের একটি হোটেলে উঠেছি।
‘মনে হচ্ছে এবার প্রচুর পর্যটক এসেছে। সবাই মিলে সুন্দরভাবে সময় কাটিয়ে যেতে পারলেই খুশি। দেশের মানুষ এখন প্রচুর ঘোরেন। এটা দেখতে ভালো লাগে।’
‘এসকেডি আমার বাড়ি’ রিসোর্টের এমডি সজল দাশ বলেন, ‘আমার এখানে কোনো রুম খালি নেই। পরিচিত অনেকের রিকয়েস্ট ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রথম প্রথম নিজের রিসোর্টে জায়গা দিতে না পারলে অন্য রিসোর্টে পাঠিয়ে দিতাম। এখন সেটাও করতে পারছি না রুম সংকটের কারণে। এমন পরিস্থিতি সাধারণত ঈদের ছুটিতে হয়। কিন্তু এবার তিন দিন ছুটি একসঙ্গে পাওয়ায় অনেকেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের ৭০টি হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সব রুম অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছে। পাঁচতারা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ মানের হোটেলেও রুম খালি নেই।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থা বলছে, পর্যটকরা প্রতিদিনই রুমের জন্য কল দিচ্ছেন। সে জন্য তারা অতিরিক্ত টাকা গুনতেও রাজি, কিন্তু কোনো উপায় নেই।
পর্যটকের ঢলে খুশি নতুন বিনিয়োগকারীরা। নির্জন রিসোর্টের পরিচালক ছোটন হক বলেন, ‘সম্প্রতি ছয় বন্ধু মিলে রিসোর্টটি চালু করেছি। চালুর সঙ্গে সঙ্গে শতভাগ বুকিং পেয়ে আমরা খুশি।’
এদিকে জেলায় বিপুলসংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসের রিকাবদার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রমণ করলে ভালো করবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.