Beanibazarview24.com
হলিউড, টম ক্রুজ, মার্কিন সরকার- সবাইকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড এবং পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কোর মহাকাশ যাত্রা শুরুর পর তাই ক্রেমলিনের ঘোষণা, ‘মহাকাশে আমরাই অগ্রপথিক’।
২০২০ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছিল, হলিউডের একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণ করতে স্পেসএক্সের রকেটে চড়ে মহাকাশে যাবেন অভিনেতা টম ক্রুজ।
জানানো হয়েছিল চলচ্চিত্রটির নাম এবং কাহিনী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু টম ক্রুজের সেই ছবির নাম ঠিক হওয়ার আগে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে কাজও শুরু করে দিলো রাশিয়া। ‘দ্য চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের একটি ছবির শুটিং করতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন রাশিয়ার অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড এবং পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো।
বেশ কয়েকদিন শুটিং করার পরে এবার অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন তারা। তবে কি হয়েছিলো সেখানে?
হঠাৎ কেঁপে উঠল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। রাশিয়ার মহাকাশযান ‘সয়ুজ এমএস-১৮’-র ধাক্কায়। নিজের কক্ষপথ থেকে মহাকাশ স্টেশন ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরে যেতে বাধ্য হলো রুশ মহাকাশযানের ধাক্কায়। সেই মহাকাশযানে ছিলেন মহাকাশে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের শুটিং করতে যাওয়া রুশ অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড, পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো ও মহাকাশচারী অভিনেতা ওলেগ নোভিত্স্কি। তবে অল্পের জন্য তারা বেঁচে গেছেন।
গত জুলাইয়ে আরেকটি রুশ মহাকাশযানের অবতরণের সময় এমনভাবেই থরথরিয়ে কেঁপে উঠেছিল মহাকাশ স্টেশন। তারপর মহাকাশ স্টেশনের রুশ অংশে আগুন লেগে ধোঁয়া বেরিয়ে আসার ঘটনাও ঘটে গত সেপ্টেম্বরে।
আমেরিকার হিউস্টনেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, এবারের ঘটনাটি ঘটেছে ভারতীয় সময়ে শুক্রবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ। চলচ্চিত্রের শুটিং হয়ে যাওয়ার পর অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালককে নিয়ে মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিতে তৈরি হচ্ছিল রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-১৮। রোবারই পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ওই রুশ মহাকাশযানের। রুশ মহাকাশযানটি নামানো হয়েছিল মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়ার যে গবেষণাগারটি রয়েছে, সেই ‘নাওকা মডিউল’-এ।
পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্যে রুশ মহাকাশযানটির থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো পরীক্ষা করে দেখছিলেন রুশ মাহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা। তখন থ্রাস্টার ইঞ্জিন চালু করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বন্ধ করা যায়নি মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো। তাদের সজোর ধাক্কায় থরথরিয়ে কেঁপে ওঠে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেই ধাক্কা নিজের কক্ষপথ থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরিয়েও দেয় মহাকাশ স্টেশনকে।
তারপর ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় রুশ মহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা বন্ধ করতে সক্ষম হন মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো। তাতে মহাকাশ স্টেশনের দুলুনিও বন্ধ হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.