Beanibazarview24.com






ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন (৩২)। ছোট্ট একটি দোকানে কম্পিউটার বসিয়ে বাচ্চাদের কাপড় ও খেলনার ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেখান থেকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক প্রতিষ্ঠান।




আউটসোর্সিং মার্কেটিংয়ের এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই চলছিল তার অ’বৈধ ‘বিট কয়েন’ ব্যবসা। বাংলাদেশে অ’বৈধ ‘বিট কয়েন’ ব্যবসার মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনের রয়েছে একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট। যেখানে মজুত রয়েছে লক্ষাধিক ডলার।
শুধু তা-ই নয়, বিট কয়েন ব্যবসার মাধ্যমে গড়েছেন ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশে’ষে এই চক্রটিকে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব। কয়েন সুমনসহ চক্রের ১২ জনকে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব-১।
গ্রে’ফতারকৃত অন্যরা হলো, আবুল বাশার রুবেল (২৮), আরমান পিয়াস (৩১), রায়হান আলম সিদ্দিকি (২৮), মো. জোবায়ের (১৮), মেহেদী হাসান রাহাত (২৪), মেহেদী হাসান (১৯), রাকিবুল হাসান (২৩), রাকিবুল ই’সলাম (২২), সোলাইমান ই’সলাম (২১), মো. জাকারিয়া (১৮), আরাফাত হোসেন (২২)।
সোমবার (৩ মে) বিকাল সোয়া ৫টায় কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ত’থ্য জানান র্যাব সদর দফতরের আ’ইন ও গ’ণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক প্রতিষ্ঠানে অ’ভিযান প’রিচালনা করে র্যাব-১-এর একটি দল। সেখান থেকে বাংলাদেশে অ’বৈধ বিট কয়েন ব্যবসার মূলহোতা ও অনলাইনে প্র’তারণার অ’ভিযোগে ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জন আ’টক করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রটির মূল হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন। সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করেন। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন।
সেখান থেকেই তিনি শুরু করেন বিট কয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। আর এর আড়ালে অ’বৈধ বিট কয়েন ও অনলাইনে বিভিন্ন প্র’তারণার ফাঁ’দ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধ’রে ব্যবসা করে আসছিলেন সুমন।
শুরুতে একটি ছোট অফিস থাকলেও তা বড় হয়, বাড্ডায় ৩টি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি ৩টি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অ’বৈধ ও প্র’তারণামূলক ব্যবসা বিট কয়েনের মাধ্যমে সুমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
ঢাকায় রয়েছে ২টি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা। এছাড়াও একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেটে এক বছরে তিনি বিট কয়েনের মাধ্যমে অ’বৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছেন। ক্রেডিট কার্ড জা’লিয়াতিতে জ’ড়িত সুমন।
গ্রে’ফতার ইসমাইল হোসেন সুমন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে বিজ্ঞাপন প্রদান করতেন। পরবর্তীতে প্র’তারণার মাধ্যমে অর্থ আ’ত্মসাৎ করতেন। কেউ যদি তার পণ্য ক্রয় করতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতো, তা হ্যাক করে টাকা আ’ত্মসাৎ করতো সুমন। গ্রে’ফতার অপর ১১ জন সুমনের সহযোগী। তাদের বি’রুদ্ধে আ’ইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.