Beanibazarview24.com
জীবনের ৪২ বছর কে.টে.ছে প্রিয়জনদের মুখ না দেখেই। পুত্র যখন স্ত্রীর গর্ভে, তখনই স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় গিয়েছিলেন তাহের আহমেদ (৬৭)। আশা ছিল, কয়েকবছর পরই ফিরবেন পরিবারের কাছে। কিন্তু ফিরেছেন ৪২ বছর পর, তাও লা.শ হয়ে।
করোনায় আ.ক্রা.ন্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রঙ্কসের মন্টিফিউর হাসপাতালে ৮ মার্চ ই.ন্তে.কাল করেন তাহের। কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা এ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাহের আহমেদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার সাবওয়ে সংলগ্ন এলাকায় বই ও খবরের কাগজ বিক্রি করতেন তিনি। পাশের ১৯৩৯ এলিস এভিনিউতে প্রবাসী বাবুল নবীর বাসার বেসমেন্টে বাস করতেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মাজেদা জানান, একমাত্র পুত্র সন্তানকে কখনও সামনাসামনি দেখেননি। ছেলের জন্মের আগেই আমেরিকায় পাড়ি দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ ৪২ বছরেও অভিবাসনের মর্যাদা না পাওয়ায় স্ত্রী-সন্তানের কাছে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার।
সর্বশেষ জো বাইডেনের অভিবাসন ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব কংগ্রেসে বিবেচনাধীন থাকায় স্বস্তিবোধ করছিলেন তাহের আহমেদ। ভিডিও কলে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়মিত বলতে ‘এবার চলে আসবো। দোয়া করো তোমরা।’ আর সেই আশ্বাস বুকে নিয়ে দিন কেটেছে তাহেরের পরিবারের।
তাহের যার বাসার বেসমেন্টে থাকতেন, তিনিও করোনায় আ.ক্রা.ন্ত হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর কয়েকদিন আগেই তাহেরের দেহে করোনা ধরা পড়ে।
তাহেরের লা.শ বেওয়ারিশ হিসেবে ওয়েস্টচেস্টার ম.র্গে নে.য়া হয়েছিল। মাজেদা উদ্দিনের তদবিরে লা.শ আনা হয় ব্রঙ্কসে গানহিল মর্গে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৩ মার্চ ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার ইসলামিক সেন্টারে বাদজোহর জানাজার পর সন্ধ্যায় আমিরাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশে রওয়ানা দেয় তাহেরের লা.শ। নিউইয়র্কে বসবাসরত রায়পুরের লোকজনের আ.র্থি.ক সহায়তায় তাহেরের ফিউনারেল ও বিমানের খরচ গঠিত হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.