Beanibazarview24.com
করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশসহ ৪০টি দেশের নাগরিকের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে যুক্তরাজ্য। তবে হোটেলে অবস্থানকালীন নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ব্রিটিশ সরকার।
নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের লাল তালিকাভুক্ত দেশে থেকে ব্রিটেনে প্রবেশের পর সরকার অনুমোদিত হোটেলে নিজ খরচে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। কিন্তু বিপুল অর্থ ব্যয় করেও হোটেলে অস্বাস্থ্যকর ও আবদ্ধ পরিবেশের অভিযোগ করেছেন তারা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে একটি বাংলাদেশি পরিবার। হালাল খাবার না দেয়া, হোটেলে অপরিষ্কার ও গুমোট পরিবেশে থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ মুসলমান পরিবারটির। যা ফলাও করে প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমও।
বাংলাদেশি পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইনের প্রথম দিন থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের অব্যবস্থাপনায় রেখেছিল। আমরা ওনাদেরকে কমপ্লেইন করেছিলাম। আমরা প্রথম ৪দিন খুব কঠিন সময় পার করেছি। আমার বাচ্চারা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। ওদের ডায়রিয়া এবং বমি হয়েছিল। এ ছাড়াও হোটেলের পরিবেশ অত্যন্ত খারাপ ছিল।’
অভিযোগকারী পরিবারের পক্ষ হয়ে ব্রিটিশ সরকারকে আইনি চ্যালেঞ্জ করেছেন এক তাহমিনা কবির নামে এক বাংলাদেশি আইনজীবী। সরকারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে মত তার।
নতুন ধরনের করোনাভাইরাস রুখতে বেশ সতর্ক অবস্থানে ব্রিটেন। বাংলাদেশসহ ৪০টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে বরিস জনসন সরকার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.