Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

যে সাধারণ সমস্যা স্ট্রোকের ঝুঁকি তিন গুণ বাড়িয়ে দেয়


স্ট্রোক করে মৃত্যুর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেখা যায় অল্প বয়সেই অনেকে এই রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ‘অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি)’ থাকলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
‘স্ট্রোক’ শীর্ষক সাময়িকীতে এই গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ‘বেস্টলাইফডটকম’ তাদের প্রতিবেদনে জানায়- উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, স্থূলতা ও ডায়াবেটিস ছাড়াও এই ‘ওসিডি’ মানসিক সমস্যার কারণে ‘এসকেমেক স্ট্রোক’য়ের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে তিনগুণ।

‘ইউ.এস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ বলে, রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে ‘এসকেমেক স্ট্রোক’ হয়।

‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের করা এই গবেষণাতে, সেই মানুষগুলোর স্ট্রোক করার ঝুঁকি পর্যালোচনা করেছে যাদের ‘ওসিডি’ আছে।

‘তাইওয়ান ন্যাশনাল হেল্থ ইন্সুরেন্স রিসার্চ ডাটাবেইজ’ থেকে গবেষকরা ২৮ হাজার ‘ওসিডি’তে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের সঙ্গে আরও ২৮ হাজার মানুষ যাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই, তাদের সঙ্গে তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ চালান।

২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা হয়, এদের মধ্যে কারা ‘এসকেমেক’ কিংবা ‘হেমোরেজিক স্ট্রোক’য়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ‘এসকেমেক স্ট্রোক’ সবচাইতে বেশি হয়, আর এই গবেষণা অনুযায়ী ‘ওসিডি’ এই ধরনের স্ট্রোক’য়ের একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কারণ।

গবেষণায় আরও জানা যায়, মধ্যবয়স্ক ও বৃদ্ধ ‘ওসিডি’ রোগীদের এই স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। ‘ওসিডি’ নেই এমন মানুষদের চাইতে চল্লিশের নিচের বয়সি ‘ওসিডি’তে আক্রান্তদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে। আবার ৪০ থেকে ৫৯ বছর যাদের বয়স তাদের মধ্যে যাদের ‘ওসিডি’ আছে তাদের স্ট্রোক করার সম্ভাবনা যাদের এই রোগ নেই তাদের তুলনায় ২.৭ শতাংশ বেশি। যাদের বয়স ৬০ বা তারও বেশি তাদের ঝুঁকি ৩.৫ শতাংশ বেশি।

২০১৩ সালের এক গবেষণায় ১০৪ জন ‘ওসিডি’তে আক্রান্ত রোগীর ‘মেটাবলিক সিন্ড্রোম’ পর্যবেক্ষণ করা হয়।

দেখা যায়, এদের মধ্যে ৩৬.৫ শতাংশের পেটে চর্বির মাত্রা বেশি, ৪২.৩ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, ২৩.১ শতাংশের কোলেস্টেরল বেশি, ৪.৮ শতাংশের আছে ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। ‘জেনারেল হসপিটাল সায়কায়াট্রি’ শীর্ষক সাময়িকীতে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’য়ের ২০২১ সালের গবেষণার প্রধান লেখক ইয়া-মেই বাই বলেন, এই গবেষণার ফলাফল থেকে ‘ওসিডি’তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাবধান হওয়া উচিত। ধূমপান বাদ দিতে হবে, শারীরিক কসরত করতে হবে নিয়মিত, শরীরের ওজন স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখতে হবে।

‘ইন্টারন্যাশনাল ওসিডি ফাউন্ডেশন’য়ের তথ্য মতে, প্রতি ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন ‘ওসিডি’তে আক্রান্ত। সেই হিসেবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই এই রোগীর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ লাখ।

এই রোগ যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে বয়সন্ধিকালেই এর সূত্রপাত হয়। রোগী অনেক সময় নিজেই বুঝতে পারেন না যে তার এই রোগ হয়েছে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.