Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

যে কারণে ভেঙে যায় আমির খানের সংসার


তিনি বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। চরিত্রকে সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে একদমই কোনো আপোষ করেন না তিনি। নিজেকে গড়ে তুলেন সে অনুযায়ী; যখন যে চরিত্রে কাজ করেন। এসব পরিশ্রম আর স্বভাবই তাকে আলাদা করে রেখেছে হিন্দি সিনেমার বাজারে।

বলছি আমির খানের কথা। তার সিনেমা মানেই বাড়তি আগ্রহ দর্শকের। ব্যক্তি জীবনেও দারুণ মার্জিত ও ব্যক্তিত্ববান তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে তিনি পথ চলছেন সাফল্যের লাল গালিচায়।

সেই আমির খানও ব্যর্থতা রয়েছে। তবে ব্যক্তি জীবনে। ভালোবেসে ঘর ছেড়ে বিয়ে করেছিলেন পালিয়ে। অথচ সেই সংসারটি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তিনি রীনা দত্তকে নিয়ে। সেই সুখের ঘরে হঠাৎ দুঃখের আগুন জ্বলে উঠেছিলো। আগুন নেভানো যায়নি। পুড়ে ছাই হয়েছে বিশ্বাস ও ভালোবাসা। যার ফলে বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতে হয়েছিলো ‌‘পিকে’ তারকাকে।

আনন্দবাজার ডিজিটাল বলছে, আমির খানদের ঠিক পাশের বাড়ির মেয়ে ছিলেন রীনা দত্ত। ছোট থেকেই একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা তাদের। এক সময়ে একে অপরের প্রেমে মশগুল ছিলেন তারা। পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়েও করেন।

মূলত ভিন্ন ধর্মের হওয়ার জন্যই প্রথমে তাদের বিয়েতে আপত্তি জানায় আমিরের পরিবার। পরে অবশ্য দুই পরিবারই তাদের মেনে নিয়েছিল। জুনাইদ এবং ইরা নামে দুই সন্তানের জন্ম দেন রীনা। আমিরও ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে শুরু করেন স্ত্রীর ভালোবাসার স্রোতে।

১৯৮৬ সালে ১৮ এপ্রিল রীনার সঙ্গে আমিরের বিয়ে হয়। ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হন দু’জন। সে সময় বলিউডের অন্যতম দামি ডিভোর্স ছিল এটিই।

তবে তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসেনি। বরং আমির আজও প্রাক্তন স্ত্রী রীনাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েই কথা বলেন। রীনার কথাবার্তাতেও আমিরের প্রতি সম্মান প্রকাশ পায়।

তাহলে কেন তাদের বিচ্ছেদ হল? জানা যায় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার সঙ্গে আমিরের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়। রীনার কানে সেই খবর পৌঁছালে সম্পর্কে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। জটিলতা বাড়তে দেননি কেউই। আমির এবং রীনা দু’জনেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করে ফেলেছিলেন।

পরে ‘লগন’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় কিরণ রাওয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আমিরের। কিরণ ছিলেন ওই সিনেমার সহকারী পরিচালক। কিরণের সঙ্গে আমিরের খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল।

তত দিনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রীনার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। তার উপর কিরণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও মানতে পারতেন না রীনা। শেষে ২০০২ সালে দু’জনে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন।

ডিভোর্সের পর কিরণের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়তে থাকে এবং ২০০৫ সালে তাকে বিয়ে করেন আমির।

তবে প্রাক্তন স্ত্রী রীনাকে আজও তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে মনে করেন তিনি। কিরণের সঙ্গেও রীনার সম্পর্কের সমীকরণ একেবারে আলাদা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.