Beanibazarview24.com
নানা নাটকীয়তা শেষে প্রেমিক রমজানকে কাছে পেলেন নাজনীন আক্তার নছিমন। স্বপ্ন ছিল তার সঙ্গেই আ.মৃ.ত্যু কাটি.য়ে দেবেন। ভা.গাভাগি করে নেবেন সুখ-দুঃখ। কিন্তু নাজনীনের সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল। নব এ দম্পতির বাধা হয়ে দাঁড়ালো বয়স। তাই বিয়ের পর তাদের আলাদা করে দিয়েছে পুলিশ। পরিণত বয়স না হওয়া পর্যন্ত আলাদাই থাকতে হবে রমজান-নাজনীনকে।
সোমবার বিকেলে নাজনীনকে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের সেই সমালোচিত চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দেন কিশোরী নাজনীন। পরে তাকে রমজানের মামাতো ভাই পলাশের জি.ম্মায় দেওয়া হয়।
এরপর সোমবার বিকেলে পলাশের বাড়ি থেকে নাজনীনকে চুনারপুলে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। এর মধ্যে দুদিন রমজান ও নাজনীন একই ছাদের নিচে ছিলেন। রোববার সকালে ধর্মীয় রীতি মেনে তাদের বিয়ে হয়।
এদিকে, নাজনীন চলে যাওয়ার পর বাবা-মা হারা এতিম রমজানের বু.কফা.টা আ.র্তনা.দ শুনে যে কারো চোখে পানি চলে আসে। নাজনীনের সঙ্গে শুক্রবার চেয়ারম্যান শাহিনের বিয়ে হওয়ার পর রমজান আ.ত্ম.হ.ত্যা.র চেষ্টা চালান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ভা.গ্য.ক্রমে রমজান সেদিন বেঁচে গেলেন। কিন্তু আগামী দিনগুলো নিয়ে শ.ঙ্কিত তার বড় ভাই হাফেজ ইমরান।
ইমরান জানান, নাজনীন তার বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার পর থেকেই মা.নসি.কভাবে ভে.ঙে পড়েছেন রমজান। সারাদিন আর্তনাদ করছেন। সোমবার রাত নি.র্ঘুম কাটিয়েছেন। নিজের হাত ও শরী.রের বিভিন্ন জায়গা ব্লে.ড দিয়ে কে.টে র.ক্তা.ক্ত করছেন। এদিকে নাজনীনের অবস্থা জান.তে বাবা নজরুল ইসলামের কাছে কল দিলেও মুঠো.ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নাজনীনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, রমজানকে ছেড়ে চলে আসার পর নাজনীনও ভালো নেই। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। একদিকে বাবা-মা হারা এতিম রমজান, অপরদিকে সৎ মায়ের ঘরে নাজনীন। কী লেখা আছে এ কিশোর-কিশোরীর কপালে? এ নিয়ে এলাকাবাসীও চিন্তিত।
-ডেইলি বাংলাদেশ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.