Beanibazarview24.com
ব্যতিক্রম এক বিয়ের অনুষ্ঠান। নিজেদের বিবাহবার্ষিকীতে এক দুস্থ পরিবারের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সকলের সাথে আনন্দে মেতেছিলেন ডা. ইমন ফরাজী দম্পতি। গতকাল (৯ ফেব্রুয়ারি) ছিল গায়ে হলুদ। আজ সম্পন্ন হলো বিয়ে।
শুক্রবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী কান্দি এলাকায় ডা. আনোয়ার হোসেন ইমন ফরাজীর নিজ বাড়িতে চলে এই আয়োজন।
বিবাহবার্ষিকীতে অনেকেই অনেক বিলাসিতা করে নামি-দামি অনেক কিছুই উপহার দেয় তার প্রিয়জনকে। এমনই এক বিবাহবার্ষিকীর দিনেই এই দম্পতির ব্যতিক্রম চিন্তা আসে গরীব দুস্থ পরিবারের জন্য কিছু করার। এরপর থেকেই পরপর তিন বছর তিনটি দুস্থ পরিবারের মেয়েকে বড় অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিলেন এই দম্পতি।
প্রায় ৫ শতাধিক মানুষকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হয়। বিয়ের শাড়ি, গহনা থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন তারা।
ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আমার বিবাহবার্ষিকীতে আনন্দ উল্লাস না করে এই কাজ করি। আমরা এদিন দেশের বাইরে না গিয়ে একটি দুস্থ পরিবারের মেয়েকে বিয়ের ব্যবস্থা করি, যাতে ওই মেয়েটাও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর মাধ্যমে তার মনে কোনো কষ্ট থাকলো না। গত তিন বছর ধরে আমার বিবাহবার্ষিকীতে এই কাজ করে আসছি। আগামী যতদিন বেঁচে থাকবো আমরা এই কাজটা করে যাবো।
বিয়ের কনে শারমিন নাহারের বাড়ি কেশবপুর গ্রামের রংপুর জেলায়। বাবার কাজের সূত্রে তারা ফরাজী কান্দি এলাকায় ভাড়া থাকেন। দিনমজুর শারমিনের বাবা শাহিদার রহমান শাহিদ লোকমুখে শুনতে পায় এই দম্পতির কথা। পরবর্তীতে কনের বাবা মেয়ের বিয়ের জন্য এই দম্পতির কাছে গেলে বিয়ের সকল দায়িত্ব নেয় তারা। মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দিতে পেরে খুশি তার বাবা।
কনের বাবা শাহিদার রহমান বলেন, আমি গরীব মানুষ। আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। আমার মেয়ের বিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আমার নেই। লোকমুখে শুনে আমি আনোয়ার ভাইয়ের সাথে দেখা করি। তারপর ভাই সব কথা শুনে আমার মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.