Beanibazarview24.com






অভাব অনটনে দিন পার করছে মালয়েশিয়াপ্রবাসী গাজীপুরের মৃ.ত লিয়াকতের পরিবার। পরিবারের একমাত্র আয় রোজগারের সম্বল প্রবাসী লিয়াকত আলী মা.রা যাওয়ার পর স্ত্রী ২ সন্তান নিয়ে তাদের খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে।




পরিবারের দাবি, সরকার যদি তাদের একটু সহযোগিতা করে তাদের বাংলাদেশের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে যে ৩ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয়ার কথা রয়েছে। এ অনুদান পেলে কিছুটা হলেও চলতে পারবে ২ সন্তান নিয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন মৃ.ত লিয়াকত আলীর স্ত্রী সুমি আক্তার লাকী।




দীর্ঘ ৮ বছর বৈধ অবস্থায় মালয়েশিয়ায় ছিলেন লিয়াকত আলী। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় দেশটির ইপু জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে বলেন লাঞ্চে পানি জমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবাসী লিয়াকত আলী গত ১৯ জানুয়ারি মৃ.ত্যু.ব.র.ণ করেন।




দূতাবাসের সহায়তায় সম্পূর্ণ সরকারি খরচে লিয়াকতের লা.শ দেশে পৌঁছায় ৫৫ দিন পরে। দীর্ঘ সময় পরে প্রবাসী লিয়াকত আলীর লা.শ পরিবারের কাছে পৌঁছালে আত্মীয়-স্বজন কা.ন্না.য় ভে.ঙে পড়ে।
সরকারি খরচে লিয়াকত আলীর .লা.শ দেশে আসলেও অনেকটা নিঃ.স্ব হয়ে গেছে পরিবারটি। ৫৮ দিন পরে হলেও লিয়াকত আলীর লা.শ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে লিয়াকত আলীর মৃ.ত্যু.র পরে হাসপাতালে ১৩ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা) বকেয়া ছিল। হাসপাতালের বিল এবং .লা.শ. পাঠানো খরচসহ প্রায় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়, যে টাকা লিয়াকত আলীর দ.রি.দ্র পরিবারের পক্ষে অস.ম্ভ.ব হয়ে পড়ে।
এমতাবস্থায় দূতাবাস থেকে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালের বিল ও লা.শ পাঠানোর খরচ দিতে অ.স্বী.কা.র করে। ফলে লিয়াকত আলীর লা.শ দীর্ঘ সময় হাসপাতালের হিমাগারে পড়ে থাকে।
অবশেষে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর জহিরুল ইসলামের একান্ত প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ১৩ মার্চ বাংলাদেশে আসে লিয়াকত আলীর লা.শ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.