Beanibazarview24.com
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ইফতারের আগে পুত্রবধূকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে আসেন শ্বশুর। এ সময় রোজিনা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধূর স্বামীও সঙ্গে ছিলেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবারের এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাবুল মিয়া সেই ভিডিও দেখতে পেয়ে রাতে বোনের বাড়ি থেকে পুলিশি সহযোগিতায় বোনকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তিনজনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ নির্যাতনের অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী আব্দুস ছালামকে (৩২) গ্রেফতার করে।
গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে আব্দুস ছালামের সঙ্গে চার বছর আগে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রোজিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সোমবার ইফতার তৈরি করা নিয়ে স্বামী আব্দুস ছালাম ও শ্বশুর শফিক মিয়া অমানবিক নির্যাতন চালান গৃহবধূ রোজিনা বেগমের ওপর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শ্বশুর সফিক মিয়া গৃহবধূ রোজিনা বেগমকে মারতে মারতে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে ফেলে আসেন।
মামলার বাদী ও গৃহবধূর ভাই বাবুল মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের ওপর একাধিকবার নির্যাতন চালিয়েছে। ইতোপূর্বে একাধিকবার স্থানীয় লোকজন সালিশ করেছেন। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.