Beanibazarview24.com
আগেই ফাঁ.সি.র আদেশ হয়েছিল। সেজন্য ফাঁ.সি.র দিনে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছিল ইরানের জাহরা ইসমাইলিকে। কিন্তু চোখের সামনে অন্যদের ফাঁ.সি দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি তিনি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়ই হৃ.দ.রো.গে আ.ক্রা.ন্ত হয়ে মৃ.ত্যু হয় তার। কিন্তু এরপরও তাকে ছাড় দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্ট ও দ্যা সান।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কু.খ্যা.ত রাজাই শাহর জেলে সেই নি.থ.র দেহকেই ফাঁ.সি.তে ঝো.লা.নো হয়েছে। নারীর শাশুড়িকে সন্তুষ্ট করার জন্য এ অ.মা.ন.বি.ক কাজ করেছিলেন কারা কর্মকর্তারা।
জাহরা ইসমাইলির বি.রু.দ্ধে নিজের স্বামীকে হ.ত্যা.র অ.ভি.যো.গ ছিল। তার স্বামী একজন ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু তিনি তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে সবসময় অ.ত্যা.চা.র করতেন। তাই ক্রো.ধে.র বশে জাহরা তার স্বামীকে হ.ত্যা করেন। সেই অভিযোগেই জাহরার ফাঁ.সি হয়।
জাহরার আইনজীবী ওমিদ মোরাদির একটি টুইটারের বরাত দিয়ে ওই গণমাধ্যম বলছে, ফাঁ.সি.র আগে আরও ১৬ জন সা.জা.প্রা.প্তের পেছনে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছিল দুই সন্তানের মা জাহরাকে। চোখের সামনে একের পর একজনকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে সেই মা.ন.সি.ক ধাক্কা সামলাতে পারেননি জাহরা। লাইনে দাঁড়িয়েই হৃদরোগে আ.ক্রা.ন্ত হয়ে মৃ.ত্যু হয় তার। কিন্তু এরপরও তাকে ছাড় দেওয়া হয়নি।
মোরাদির দাবি, ডেথ সার্টিফিকেটে জাহরার মৃ.ত্যু.র কারণ হিসেবে হৃ.দ.রো.গে আ.ক্রা.ন্ত হওয়ার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। অ.ত্যা.চা.রী স্বামীর হাত থেকে দুই মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়েই স্বামীকে হ.ত্যা করতে বাধ্য হন জাহরা।
জাহরার আইনজীবীর অভিযোগ, জাহরার শাশুড়ি ছেলে হ.ত্যা.র প্র.তি.শো.ধ নেওয়ার ঘোষণা করলে মৃ.ত্যু.র পরেও জাহরার দেহটি ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গিয়ে দড়িতে বেঁধে ঝো.লা.নো হয়। যাতে ফাঁ.সি.তে ঝো.লা.নো.র পর তার শাশুড়ি লা.থি মে.রে জাহরার পায়ের নিচ থেকে চেয়ারটি সরিয়ে দিতে পারেন।
ইরানে শরিয়ত আইনেই নি.হ.ত হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্র.তি.শো.ধ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। যাতে অভিযুক্তকে সরাসরি শা.স্তি দেওয়ার সুযোগ পান তারা। আর ইরানে একই দিনে ১৭ জনের ফাঁ.সি.র ঘটনাও খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ চীনের পর ইরানেই সবচেয়ে বেশি প্রা.ণ.দ.ণ্ডে.র শা.স্তি দেওয়া হয়। মা.দ.ক পা.চা.র, ম.দ্য.পা.ন, স.ম.কা.মি.তা, বিয়ের আগেই যৌ.ন স.ম্প.র্কের মতো অভিযোগেও সেদেশে প্রা.ণদ.ণ্ডে.র শা.স্তি দেওয়ার নজির রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.