Beanibazarview24.com
বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ভক্ত বাবা মা তার নাম রেখেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ইচ্ছে ছিলো তাদের মেয়েও একদিন নামকরা সুন্দরী হবে, দেশসেরা অভিনেত্রী হবে। সেই চেষ্টাও করেছিলেন ঐশ্বরিয়া শেহরান।
২০১৬ সালের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল অব্দি পৌঁছেছিলেন। মুকুট জেতা হয়নি তার। তবে এরপর থেকেই মডেল হিসেবে কাজ করা শুরু৷ বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন
এবার জানা গেল, ভালো মডেলের পাশাপাশি একজন তুখোড় ছাত্রীও ঐশ্বরিয়া৷ এই সুন্দরী হয়েছেন আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) অফিসারও। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস ২০১৯ পরীক্ষায় ৯৩তম স্থান অধিকার করেছেন ঐশ্বরিয়া। সুন্দরী এই মডেলকে এখন পুলিশ কর্মকর্তার পোশাক গায়ে চেপে অপরাধ দমনের মাঠে দেখা যাবে।
মঙ্গলবার রেজাল্ট ঘোষণার পর থেকেই দারুণ খুশি তিনি। রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট এখন তাই সবার মুখে মুখে। তাকে নিয়ে আলোচনা চলছেই। মডেলিংয়ের ব্যস্ততা নিয়েও ঐশ্বরিয়া যে সাফল্য দেখিয়েছেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তার প্রশংসা করছেন দেশের মানুষ৷ অনেকে এটাকে প্রেরণা হিসেবেও নিয়েছেন।
এদিকে রেজাল্ট পেয়ে উচ্ছ্বসিত ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাম অনুযায়ী আমার মা আমার নাম রেখেছিলেন। তিনি চাইতেন আমি মিস ইন্ডিয়া হই। আমি মিস ইন্ডিয়া ফাইনালিস্টের ২১ জনের মধ্যেও এসেছিলাম ২০১৬ সালে। সে থেকেই শোবিজে কাজ করছি। আজ নতুন সাফল্যে সবার উৎসাহ আমাকে নতুনভাবে পথ চলার প্রেরণা দিচ্ছে।’
দিল্লির বাসিন্দা ঐশ্বরিয়া শেহরান মডেলিংয়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘২০১৪ সালে দিল্লি টাইমস ফ্রেশ ফেস দিয়েই আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেটা জেতার পর আমাকে মিস ইন্ডিয়াতে যেতে বলা হয়। সেখান থেকেই মডেলিংয়ে হাতেখড়ি আমার।’ একাধিক ডিজাইনার ও ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণ করেছেন ঐশ্বরিয়া।
পড়াশোনায় যেহেতু বরাবরই ভালো ছিলেন ঐশ্বরিয়া তাই মডেলিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কাজ থেকে ১-২ বছরের বিরতি নিয়ে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিলো। কোনও প্রথাগত ট্রেনিং নেননি তিনি। তবে পড়াশোনার সময় মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়াকে দূরে রেখে নিয়মিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। সেই পরিশ্রমের ফলটাও পেলেন আজ। সুন্দরীরা বুদ্ধিমান হয় না এটা আবারও প্রমাণ করলেন দিল্লীর সুন্দরী ঐশ্বরিয়া।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.