Beanibazarview24.com
সিলেটে নীরবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে গাড়িতে করে ফিরছিলেন বর-কনে। সীমিত পরিসরে বরযাত্রী নিয়ে ফেরার পথে ধরা পড়লেন বেরসিক পুলিশের হাতে! তাদের ছাড়াতে অপর প্রান্ত থেকে মোবাইলে ফোন আসে এক শ্রমিক নেতার। তাতে সায় দিলেন না ট্রাফিক সার্জেন্ট। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নববধুর সামনে কান ধরে ক্ষমা চাইলেন বর। সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবি পোষ্ট করে প্রতিবাদ করছেন অনেকে।
কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ে করায় সিদ্ধান্তের জন্য ডাকলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে পার পেলেন বর ও কনে। শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে নগরীর প্রবেশদ্বার হুমায়ন রশিদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, লাল বেনারসি পরা নববধূকে নিয়ে একটি নোহা মাইক্রোবাসে বসা ছিলেন বর। বর-কনেসহ গাড়িতে ছিলেন ৯ যাত্রী। লকডাউন ভাঙার কারণ জিজ্ঞেস করলেও সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। তখন বরের সঙ্গীয় যাত্রী সার্জেন্ট হাসানের কানে ফোন তুলে দেন। তিনি কথা বলে জানান, ওখানে মিডিয়া ও থানার লোকজন উপস্থিত, আমার কিছুই করার নেই।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় সিদ্ধান্তের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করা হয়েছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বরপক্ষের লোকজন জানান, লকডাউনে সবধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আছে সেটা তারা জানতেন। কিন্তু বিয়ের তারিখ আগেই নির্ধারিত থাকায় বিশেষ অসুবিধার কারণে তারা তারিখ পরিবর্তন করতে পারেননি। তাই সীমিত পরিসরে শুধু একটিমাত্র মাইক্রোবাস নিয়ে তারা কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। এরমধ্যেই তারা ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.