Beanibazarview24.com
তিনি অভিনেত্রী। নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যও। অথচ তিনিই কিনা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে ট্রল। ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে পড়েছেন খবরের শিরোনামে যাদবপুরের সংসদ সদস্য ও টালিউড নায়িকা মিমি চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২২ জুন) কসবার নিউমার্কেট এলাকার (কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড) এক ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে কোভিড টিকা নেন মিমি। বিশেষভাবে সক্ষম শিশু ও সমকামীদের এ ক্যাম্পে বিনা মূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে।
আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে সে কথা জানতে পেরে সেখানে হাজির থেকে সবাইকে উৎসাহিত করতে নিজেও ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরে গোটা বিষয় নিয়ে খটকা লাগে তার।
তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মনোযোগী হন। তখনই বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল। জানা যায়, সেখানে চলছিল ভুয়া ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম। ওই কেন্দ্রটিও অনুমোদনহীন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ওই ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেব। তিনি নিজেকে আইএস অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। মিমিকে জানানো হয়েছিল জয়েন্ট কমিশনার অব কেএমসির উদ্যোগে ওই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে।
মিমি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গোটা বিষয়টা প্রোমোট করতে আমি পৌঁছেছিলাম, ওখানে নিজেও ভ্যাকসিন নিই। কিন্তু তার পর থেকেই ফোনে কোনো মেসেজ না আসায় আমার খটকা লাগে। সার্টিফিকেট চাইলেও ওরা জানায়, বাড়িতে পৌঁছে যাবে; কিন্তু আসেনি। পরে অফিসের লোক গিয়ে খোঁজ করায় বলে, তিন-চার দিন সময় লাগবে। তখন থেকেই সন্দেহ হতে থাকে। ঘটনার খোঁজখবর নিতে গিয়ে সব জানলাম।’
মিমি নিজে ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়া অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তারাও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন। তার পরই প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করেন মিমি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিমির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দেবাঞ্জন দেব নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পৌরসভার নাম ভাঙিয়ে টিকাকরণ ক্যাম্প চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ব্যবহার করা হচ্ছে কেএমসির লোগো ব্যবহৃত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। উদ্ধার করা হয়েছে একটি জাল কার্ডও। ওই কার্ডে কলকাতা পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.