Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

মসজিদে পরিণত হতে পারে ইস্তানবুলের বিখ্যাত জাদুঘর


ইস্তানবুলের বিশ্বখ্যাত সাংস্কৃতিক স্থাপনা হাজিয়া সোপিয়া’র জাদুঘর মর্যাদা নাকচ করে দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত। এর মধ্য দিয়ে স্থাপনাটির মসজিদে পরিণত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। তবে সেক্যুলার মতাদর্শে বিশ্বাসী দেশটির অনেক বাসিন্দা এই পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রায় দেড় হাজার বছর আগে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান গির্জা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় হাজিয়া সোপিয়া। পরে তুরস্কের অটোমান শাসকেরা এটিকে মসজিদে রুপান্তর করেন। ১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এটিকে আবারও মসজিদ হিসেবে ফিরিয়ে নেওয়ার তাগাদা দেন।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য হাজিয়া সোপিয়া। এর আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এই বিশ্ব ঐতিহ্যটির মর্যাদা পরিবর্তন না করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনেস্কো।

তুরস্কের ইসলামপন্থীরা দীর্ঘদিন থেকেই হাজিয়া সোপিয়াকে আবারও মসজিদে পরিণত করার দাবি করে আসছেন। তবে সেক্যুলার অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন। বিশ্বের নানা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারাও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অনেকের কাছে খ্যাত মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের সরকার ১৯৩৪ সালে হাজিয়া সোপিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করে। আর তখন থেকে সব ধর্মের অনুসারীদের জন্য এটা উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে তা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হয়ে ওঠে।

তবে শুক্রবার তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত কাউন্সিল অব স্টেট’র রায়ে বলা হয়েছে, ‘সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, নিষ্পত্তি চুক্তি অনুযায়ী এটাকে মসজিদ হিসেবেই বরাদ্দ করা হয় আর এর বাইরে অন্যকিছু হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা আইনগতভাবে সম্ভব নয়।’ ওই রায়ে বলা হয়, ‘১৯৩৪ সালে মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার বন্ধ করে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা নিয়েছিল তা আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’

তুরস্কের আদালতের এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ। এক বিবৃতিতে তারা বলছে, হাজিয়া সোপিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্কের আদালত কারো উদ্বেগ বিবেচনায় নেয়নি। এই সিদ্ধান্ত বড় পরিসরে বিভাজন তৈরি করতে পারে বলেও সতর্ক করা হয় ওই বিবৃতিতে

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.